সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
সাইফুলের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা থানার মধ্য খোন্তাকাটা এলাকায়। রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সে ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) শরীফুর রহমান জানান, ফাঁসি কার্যকরের সময় তিনিসহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন সৈয়দ মঞ্জুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র জেলসুপার বলেন, সকল বিধি-বিধান ও প্রক্রিয়া মেনে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ এস আল আলী হত্যা মামলার আসামি সাইফুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।
২০১২ সালের ৫ মার্চ রাজধানীর গুলশানে গুলিবিদ্ধ হন খালাফ আল আলী। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। খালাফ হত্যার ঘটনায় ৭ মার্চ গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ মামলার রায়ে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে আসে। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। এর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
আল আমিন, আকবর আলী ওরফে রবি, রফিকুল ইসলাম খোকনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পায় অপর আসামি সেলিম চৌধুরী ওরফে সেলিম আহম্মেদ।
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে সাইফুলের করা আবেদন ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]