শিরোনাম
বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলা এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:০৯
বিডিআর বিদ্রোহ: বিস্ফোরক মামলা এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার কার্যক্রম শেষ হয়নি ১০ বছরেও। এখনো মামলাটি নিম্ন আদালতের গণ্ডিই পেরোতে পারেনি। এই মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।


মামলার বিচার কবে শেষ হবে তা বলতে পারছেন না আইনজীবীরা।


২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় বাংলাদেশ হারায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে। সে দিনের সেই ঘটনায় পুরো জাতি শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে।


বিদ্রোহের নামে পিলখানা সদর দফতরে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টে হত্যা মামলার রায় হলেও ১০ বছরে শেষ হয়নি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার বিচার কাজ।


হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায় এবং ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি হয়। কিন্তু একই ঘটনার বিস্ফোরক আইনে করা মামলা এখনো বিচারাধীন।


রাজধানীর বকশিবাজারের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অস্থায়ী এজলাসে এ মামলার কার্যক্রম চলছে। প্রায় ১৩শ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৭৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার মোট আসামি ৮৩৪ জন । ১৫ থেকে ১ মাস পরপর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু সময়মত সাক্ষী না আসায় মামলার কার্যক্রমের সময়সীমা বাড়ছে।


সর্বশেষ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য থাকলেও সাক্ষী না আসায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আগামী ৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেন। একই কারণে গত ২১ জানুয়ারিও সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানো হয়। ফলে কবে নাগাদ এ মামলার বিচার সম্পন্ন হবে তা কেউ বলতে পারছেন না।


এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঘটনাস্থল, সাক্ষী ও আসামি একই হওয়ায় দুটি মামলায় একসঙ্গে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তবে আসামিপক্ষের আবেদনে মামলা দুটির বিচারকাজ পৃথকভাবে চলে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বিচারিক আদালতে রায় হয়। এরপর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এই মামলায় নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে হাজির করা নিয়ে বিলম্ব হয়। এখন প্রতি মাসে তিনটি তারিখে মামলাটির কার্যক্রম চলছে।


চলতি বছরই মামলাটি নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আশা করেন তিনি।


আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেছেন, এ মামলায় ১ হাজার ৩৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৭৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে মামলাটি। এভাবে চলতে থাকলে মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি কবে হবে, তা অনিশ্চিত।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com