প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার কমিশনারের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ওই রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদি করা হয়।

আদেশের পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রিট আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে স্বাভাবিক নিয়মেই সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা দায়িত্ব পালন করবেন ও কাজ চালিয়ে যাবেন।

রিটকারীর আইনজীবী ইউসুফ আলী ওইদিন বলেছিলেন, সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে আইন প্রণয়ন করে এর বিধান সাপেক্ষে সিইসিসহ চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে হবে। অথচ এখনো কোনো আইন ও বিধান হয়নি। এসব ব্যতিরেখে সিইসিসহ অপর নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে এবং এই সংবিধান ও আইনের অধীনে হবে। স্বাধীন দায়িত্ব পালনের পূর্বাভিজ্ঞতা ব্যতিরেখে সিইসি হিসেবে কেএম নূরুল হুদাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদের শর্ত পূরণ করে সিইসিসহ অন্য কমিশনারদের নিয়োগে বিবাদীর নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে।

বিবার্তা/জাকিয়া