শিরোনাম
হলি আর্টিজান মামলা মহানগর আদালতে বদলি
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৮, ১৪:০০
হলি আর্টিজান মামলা মহানগর আদালতে বদলি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানী গুলশানের হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার ঘটনার দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছে আদালত।


ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) সাইফুজ্জামার হিরো বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। বিষয়টি জানিয়েছেন গুলশান থানার আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম।


তিনি বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। মামলাটি এখন সিএমএম আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে মামলাটির বিচার কার্যক্রম হবে।


এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এতে ২১১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। ৭৫টির মতো আলামত আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ দুই বছর পর ২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।


গত সোমবার কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, চার্জশিটে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হলি আর্টিজানেই নিহত হয়েছে। এছাড়া জীবিত আটজনের মধ্যে ছয়জন কারাগারে ও দুইজন পলাতক রয়েছে। তবে চিহিৃত বাকি ১৩ জন বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।


কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলো- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।


পলাতক দুই আসামি হলো- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।


মনিরুল বলেন, নব্য জেএমবির সাংগঠনিক সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের দৃষ্টি কাড়তেই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালানো হয়। তবে হামলাকারীদের কারো সঙ্গে ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-কায়েদা বা অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।


তদন্তে দেখা গেছে, আসামিরা পাঁচ মাস আগে থেকেই হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা, বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো, সরকারকে চাপের মুখে ফেলা।


তিনি বলেন, হামলার পরদিন সকালে হলি আর্টিজান বেকারি থেকে গ্রেফতার হওয়া নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম ও অভিযানে নিহত হলি আর্টিজানের পাচক সাইফুল ইসলামের নাম অভিযোগপত্রে আনা হয়নি। শুরুতে সন্দেহের তালিকায় রাখা হলেও তাদের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তদন্তকারীরা পাননি।


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান-২ এর হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলা করে কয়েকজন জঙ্গি। এ সময় দেশী-বিদেশি ২২ জন নাগরিককে হত্যা করে তারা। এর মধ্যে ইতালির নয়জন, জাপানি সাতজন, ভারতীয় একজন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন ও বাংলাদেশী দুইজন ও দুই পুলিশ কর্মকর্তরা রয়েছেন।


এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে দেশী-বিদেশি মোট ৩২ জন নাগরিককে উদ্ধার করেছিল।


এদিকে অভিযানের পর নিহত ছয় জঙ্গি হামলায় সহায়তাকারীদের আসামি করে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।


বিবার্তা/খলিল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com