শিরোনাম
গ্রাম পুলিশদের বেতন নিয়ে হাইকোর্টের রুল
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:১২
গ্রাম পুলিশদের বেতন নিয়ে হাইকোর্টের রুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

গ্রাম পুলিশ সদস্যের বেতন চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের স্কেলের সমপরিমাণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দফাদার ও মহলদার মিলে সারা দেশে গ্রাম পুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার।


একইসঙ্গে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্তি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।


এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।


আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।


আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জন প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র ও আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিট দায়ের করেন। বর্তমানে গ্রাম পুলিশে একজন দফাদার বেতন পান তিন হাজার ৪০০ টাকা এবং মহালদার পান তিন হাজার টাকা।


আইনজীবী হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনী গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃংখলা ও চাকুরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।


এদিকে এই দাবির প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের চতুর্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান তিনি।


তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সরকারি কাঠামোতে যেখানে একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা, সেখানে গ্রাম পুলিশরা সেই সর্বনিম্ন মজুরিও পাচ্ছে না। এটা অমানবিক এবং অন্যায্য। এ কারণেই হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়েছে এবং আদালত রুল জারি করেছে।


২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি এক আদেশে দফাদারদের অবসরভাতা এককালীন অনুদান ৬০ হাজার টাকা এবং মহলদারদের ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়। এর অর্ধেক টাকাও সরকার এবং বাকিটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়ার কথা।


বেতনের বাইরে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা দুই ঈদে উৎসব ভাতা পান। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে গ্রাম পুলিশের জন্য সরকারের বরাদ্দ ছিল ১৩০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে বাড়িয়ে ১৩৫ কোটি টাকা করা হয়।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com