রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ : শরীফ
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৪:০৭
রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ : শরীফ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পেলে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরিচ্যুত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।


১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার দুদক আইনের ৫৪(২) বিধি নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেন।


গণমাধ্যমে শরীফ উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটা মানতে হবে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পাওয়ার পর তিনি তার আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জনান।


এর আগে সকালে কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) ছাড়া দুদক কর্মচারিকে অপসারণ করা সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেন।


এর ফলে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন চাকরিতে ফিরতে পারবেন না বলে জানান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তিনি বলেন, দুদক কর্মচারিকে অপসারণ করা সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন, দুদকের আপিল মঞ্জুর করে সেই রায় আপিল বিভাগ আজ বাতিল করে দিয়েছেন। এছাড়া এ বিষয়ে শরীফ যে রিট আবেদন করেছিলেন সেই রিট পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন আদালত। এর ফলে শরীফ আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না।


২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারি) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারিকে নব্বই দিনের নোটিশ দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে।


আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।


২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারি) চাকরি বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি ৫৪ (২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সেই রিটে ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।


হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর বিরুদ্ধে পরের বছর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে দুদক। পরে শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন আপিল বিভাগ। আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। পরে আপিল করে দুদক।


এদিকে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪ (২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু তখন পর্যন্ত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ।


গত ৩ জানুয়ারি শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর একসঙ্গে দুই আবেদনের শুনানি শেষে গত ২ মার্চ রায়ের জন্য ১৬ মার্চ দিন ঠিক আপিল বিভাগ।


বিবার্তা/সানজিদা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com