শিরোনাম
সিআইডির প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্টের বিস্ময় প্রকাশ
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:১৯
সিআইডির প্রতিবেদন দেখে হাইকোর্টের বিস্ময় প্রকাশ
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা ৪৯টি মামলার বাদীর নামের তালিকা ও এ সংক্রান্ত সিআইডির প্রতিবেদন দেখে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আদালত বলেছেন, বাংলাদেশে পীর সাহেবের কাণ্ড দেখুন। জায়গা-জমি দখলের জন্য পীর সাহেবরা অনুসারী-মুরিদ দিয়ে কী করে দেখুন। সম্পত্তির জন্য তথাকথিত মুরিদ দিয়ে মামলা করিয়েছেন। পীর সাহেবের কেরামতি দেখুন। জায়গা জমির জন্য মুরিদ দিয়ে মামলা করবে-এটা কি কোনো কথা হলো! মুরিদের ঠিকানা দিয়ে মামলা করেছে। একজন মানুষের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিলেই তো তার জীবন শেষ হয়ে যায়। সেখানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এতোগুলো মামলা? এটাতো মারাত্মক ব্যাপার।


রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন।


হাইকোর্ট গত ১৪ জুন এক আদেশে একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দাখিল করা ৪৯টি মামলার বাদীকে খুঁজে বের করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। এছাড়া ওই ৪৯টি মামলার বৃত্তান্ত নিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি মামলার বাদীর পরিচয়পত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করে ৫ দফা নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে সিআইডি বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।


সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘একরামুল আহসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় সর্বমোট ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো সম্পর্কে প্রকাশ্য ও গোপনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, অধিকাংশ মামলার বাদী, সাক্ষী, ভুক্তভোগীরা কোনো না কোনোভাবে রাজারবাগ দরবার শরিফ এবং ওই দরবার শরিফের পীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।’


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সিআইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রাজারবাগের দরবার শরীফের পীর দিল্লুর রহমান এবং তার অনুসারীরা তাদের দরবার শরীফের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিরীহ জনসাধারণের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে আসছে বলে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।


ঢাকার শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন গত ৭ জুন হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করে বলেন, তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা করা হয়। কিন্তু একটি মামলারও বাদী খুঁজে পাওয়া যায়নি-এই বিবেচনায় তাকে ৩৬টি মামলায় নিম্ন আদালত থেকেই খালাস দেয়া হয়েছে। ১৩টি মামলা এখনো বিচারাধীন। তবে এসব মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। সবমিলে ওইসব মামলায় তিনি ১ হাজার ৪৬৫ দিন কারাভোগ করেছেন।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com