নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা এবং আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করতে আরো সময় পেয়েছে সরকার। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সময় দেয়া হয়েছে।
রবিবার ওই গেজেট প্রকাশের জন্য রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম আরো এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে আট বিচারকের আপিল বিভাগ এই সময় দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বার বার সময় দেয়ার পরও সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে ওই বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ না করায় গত ৮ ডিসেম্বর দুই সচিবকে তলব করে।
দুই সচিবের হাজিরার আগে ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে একটি নোটিসে বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক পরদিন আদালতের তলবে হাজির হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিধিমালা নিয়ে 'রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে।'
সেদিন শুনানি করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয় আপিল বিভাগ।
সে অনুযায়ী বিষয়টি রবিবার আদালতে উঠলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, গেজেট প্রকাশের জন্য আরো সময় প্রয়োজন। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করতে বললে পরে মাহবুবে আলম এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় সরকারকে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলার চূড়ান্ত শুনানি করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে আলাদা করতে ঐতিহাসিক এক রায় দেয়।
ওই রায়ে আপিল বিভাগ বিসিএস (বিচার) ক্যাডারকে সংবিধান পরিপন্থি ও বাতিল ঘোষণা করে। একইসঙ্গে জুডিশিয়াল সার্ভিসকে স্বতন্ত্র সার্ভিস ঘোষণা করা হয়। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার জন্য সরকারকে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
বিবার্তা/আকবর/হোসেন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]