মাসুদ রানা নামের এক আইনজীবীকে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।তাকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট আরো বলেছেন, ভালো হয়ে যান মিস্টার মাসুদ রানা। এসব করে আদালতের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।
জানা গেছে, লকডাউনে কোর্ট বন্ধ থাকায় উপার্জন থমকে গেছে আইনজীবীদের। এমন পেশাশ্রেণির মানুষ হয়ে কারো কাছে হাতও পাততে পারছেন না তারা। তাই অর্থনৈতিক দৈন্যদশায় সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে পড়েছে। মাসুদ রানা নামের এক আইনজীবী নিজের বর্তমান করুণ পরিস্থিতির কথা জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের দ্বারস্থ হন।তিনি কোর্ট বন্ধ থাকায় পেট চালাতে নিজের মোটরসাইকেলে বাইক রাইডিংয়ের কাজ শুরু করেন।
ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করেন মাসুদ। যেখানে তাকে প্যাসেঞ্জার নিয়ে কালো কোট পরে মোটরসাইকেল চালাতে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে আবেগঘন বিস্তারিত বার্তাও দেন তিনি। যার শিরোনাম - মাননীয় প্রধান বিচারপতি, আপনার কোর্ট অফিসার এখন বাইক রাইডার।
তার সেই ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিবাচক-নেতিবাচক মন্তব্য জমা পড়ে অনেক। অনেকেই তাকে সহমর্মিতা জানান। আইনজীবীদের এই দূরাবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে যখন গত কয়েকদিন ফেসবুকে তোলপাড় তখন এ নিয়ে কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
গত সোমবার আইনজীবী মাসুদ রানার দুটি মামলায় দুই আসামির জামিনের আবেদন ছিল হাইকোর্টে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়।
সকালে মামলা দুটি শুনানি করতে গেলে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান ফেসবুকে ভাইরাল মাসুদ রানার ছবিটির প্রসঙ্গ তোলেন। সত্যি কি মাসুদ রানা রাইড শেয়ারিংয়ে বাইক চালানো কাজ করেন? প্রশ্ন করেন।
তখন আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি তাকে দেখেন বলেন, মিস্টার মাসুদ আপনি দেখছি উবার চালিয়ে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। এগুলো করবেন না। ভালো হয়ে যান মিস্টার মাসুদ রানা। এসব করে আদালতের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]