শিরোনাম
রফিকুল আমিনের সঙ্গে থাকা ৮ কারারক্ষী প্রত্যাহার
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২১, ১২:০৬
রফিকুল আমিনের সঙ্গে থাকা ৮ কারারক্ষী প্রত্যাহার
ফাইল ছবি
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

কারাগারের অধীনে হাসপাতালে থাকা ডেসটিনি- ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিনের মোবাইল ফোন ও জুম মিটিংয়ে অংশ নেয়ার ঘটনায় আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


তিনি বলেন, এ ঘটনায় সন্ধ্যায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত চলছে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্বরত আট কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন প্রধান কারারক্ষী, সাতজন সাধারণ কারারক্ষী।


তিনি আরো বলেন, বিএসএমএমইউ থেকে প্রত্যাহার করা আটজনকে সাধারণ ডিউটি দেয়া হবে।


গত দুই মাস ধরে রফিকুল আমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালে থাকার কারণ হিসেবে ‘ডায়াবেটিসের সমস্যা’র কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।


এর আগে বুধবার রাতে প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে, ডেসটিনি- ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন কারাবন্দি হওয়া সত্ত্বেও ভিডিও অ্যাপ ‘জুম’ ব্যবহার করে সহযোগীদের সঙ্গে মিটিং করেছেন। এ মিটিংয়ের দুটি ভিডিও রেকডিং হাতে রয়েছে।


প্রতিবেদনে উঠে আসে, রফিকুল আমিন কেবল কাগজে-কলমে কিংবা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে ‘অসুস্থ’। হাসপাতালে থেকে দিব্যি ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহার করে জুম অ্যাপে নিয়মিত মিটিংও করছেন। তার এমন জুম মিটিংয়ের দুটি ভিডিও রেকডিং এসেছে। যার একটি এ বছরের মে মাসের এবং আরেকটি জুন মাসের।


ভিডিওতে দেখা যায়, রফিকুল আমিন ডেসটিনির মতোই নতুন আরেকটি এমএলএম ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে সেই ব্যবসা শুরুও করেছেন তিনি। ব্যবসার জন্য শিগগিরই এক হাজার ৩০০ মার্কেটিং এজেন্ট নিয়োগের কথা বলেন।


জুম মিটিংয়ের রেকর্ড করা ভিডিওতে রফিকুল আমিনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি সেখানে ‘মিস্টার এ’ নামে রেজিস্ট্রি করেন। তার প্রোফাইল ছবিতে ইংরেজি বর্ণের বড় হাতের ‘R (আর)’ লেখা। ব্যবসার বিষয়ে আলাপকালে তার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান ডেসটিনি- ২০০০ লিমিটেডের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা যায়।


এছাড়া নতুন ব্যবসায় ধীরগতির বিষয়ে মিটিংয়ে রফিকুল আমিন বলেন, কেরানীগঞ্জে (কারাগারে) যাওয়ার কারণে সেই কাজটা পিছিয়ে গেছে। এক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেলে থেকে কোরআন-হাদিসের অনেক জ্ঞান নিয়েছি।


রফিকুল আমিন কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তবে, ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা বলে গত এপ্রিলে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসকের অধীনে থাকলেও তার নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় কারাগারের দুজন রক্ষী সবসময় দায়িত্ব পালন করেন।


২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিন এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


ওই বছরের ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন। ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় মোট ৫৩ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে চার হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং ৯৬ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে ছিলেন রফিকুল আমিন। তবে, ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা বলে গত এপ্রিলে তিনি বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com