শিরোনাম
ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২১, ১৭:৩৭
ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অবৈধভাব সম্পদ অর্জন, ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় ডিআইজি (বরখাস্ত) মিজানুর রহমানের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুদকের করা ওই দুই মামলায় কেন তাকে জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


মঙ্গলবার (৮ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।


অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় মিজানের জামিন আবেদন ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই হাইকোর্ট খারিজ করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এর পর থেকে তিনি কারাবন্দি। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পর আবার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।


ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ সম্পর্কে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামি মো. মিজানুর রহমান ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসানের নামে গুলশান-১-এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান কিনে তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনারের নামে ভাড়া দেখিয়ে নিজ দখলে রাখেন। মিজান নিজে নমিনি হয়ে তাঁর ভাগ্নে মাহমুদুলের নামে কারওয়ান বাজার শাখার ওয়ান ব্যাংকে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন।


দুদক অনুসন্ধানে নামার পর সুদে-আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উঠিয়ে নেন মিজান। একইভাবে তার ভাই মাহবুবুর রহমানের নামে বেইলি রোডে দুই হাজার ৪০০ বর্গফুটের প্রায় এক কোটি টাকার ফ্ল্যাট কেনেন। দুদকের অনুসন্ধানে মাহবুবুর রহমান ফ্ল্যাট কেনার বৈধ আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি। ওই ফ্ল্যাটটি এখন ডিআইজি মিজানের দখলে রয়েছে। আর মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়ার নামে কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডে 'নির্মাণ সামাদ ট্রেড সেন্টারে' ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি দুই কোটি টাকা মূল্যের বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট আছে।


এভাবে আসামি মিজানুর রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এরমধ্যে স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের নামে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।


এ মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ডিআইজি মিজানসহ আসামিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দেন। এছাড়া ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।


ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতন এবং অপর এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগও ওঠে।


বিবার্তা/আবদাল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com