সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) চাকরিপ্রার্থী মো. তারেক রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এ রিট দায়ের করেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচারের পর বিভিন্ন গনমাধ্যম থেকে জানা গেছে যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজারের অধিক সহকারী শিক্ষক, শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় নেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা প্রথা বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর গত ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা আর পুরুষ প্রার্থীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত প্রজ্ঞাপন ৮ম অনুচ্ছেদে বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র এবং সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
রিটকারীর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া জানান, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে, অথচ অন্য কোনো অনগ্রসর কিংবা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কিছুই উল্লেখ নাই। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের চাকরিপ্রত্যাশী ছেলেদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
রিটে মন্ত্রীপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
বিবার্তা/রাসেল/এনকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]