নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার দায় কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। এঘটনায় দায় এড়ানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মার ইয়াম খন্দকার। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. নুর-উস-সাদিক।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আমাদের শুনানি গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় এতগুলো মানুষ মারা গেল, এর দায় কাউকেনা কাউকে তো নিতেই হবে। এখানে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, শুনানিতে আমরা সংবিধানের ৩২ ধারা তুলে ধরে বলেছি, মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, এখানে দেখা গেছে গ্যাসের লিকেজ থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনার আগে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। তারা মেরামতের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।
আইনজীবী বলেন, ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি যদি মিথ্যাও হয়ে থাকে তারপরও এটা মেরামতের দায়িত্ব তো তিতাসের।
তিনি বলেন, যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নত করে ব্যব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদালতের নির্দেশনা চেয়েছি। আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার ওই মসজিদে বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন ৩৭ জন মুসল্লি। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]