ঢাকার পল্লবীতে পু্লিশ হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার শিকার গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন (৩৩) হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন আদালত। পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় (নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে) এই প্রথম কোনো মামলার রায় হচ্ছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েস এই আদেশ দেন।

মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অপর দুইজন হলেন কথিত সোর্স। আসামিরা হলেন, পল্লবী থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল ইসলাম ও এএসআই কামরুজ্জামান। অন্যরা হলেন, সোর্স সুমন ও রাসেল।

এদের মধ্যে এএসআই কামরুজ্জামান ও সোর্স রাসেল পলাতক। কারাগারে আছেন এসআই জাহিদুর রহমান ও সুমন। জামিনে বাইরে আছেন এএসআই রাশেদুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বলেন, নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করলেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আদালতের কাছে চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা আশা করি, আদালত আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেবেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে বিয়ে বাড়িতে বিবাদকে কেন্দ্র করে পুলিশের সোর্স সুমনের সঙ্গে ইশতিয়াক হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। সুমনের ফোন পেয়ে পুলিশ দুই ভাইকে ধরে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে। এর মধ্যে ইশতিয়াকের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইশতিয়াক হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ইশতিয়াকের ভাই ইমতিয়াজ পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদনে সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পাঁচজনকে অভিযুক্ত ও পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

বিবার্তা/আবদাল