শিরোনাম
গ্রামীণফোনকে আরো এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৩৩
গ্রামীণফোনকে আরো এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পাওনা বাবদ আরো এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।


সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বৃহত্তর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতের নির্দেশে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণফোন।


আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই রাকিব।


পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিরীক্ষা পাওনা দাবি নিয়ে করা মামলাটি (নিম্ন আদালতে থাকা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।


গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আজই গ্রামীণফোনের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এরপরই গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে।


গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে রবিবার চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে হস্তান্তর করে।


গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।


জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি পাওনা বাবদ ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা করে এই পাওনা নির্ধারণ করা হয়। পাওনার মধ্যে রয়েছে রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাত। তবে প্রথম থেকেই গ্রামীণফোন এই দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।


পাওনা আদায় ও বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও তা ব্যর্থ হয়। ওই বৈঠকে তখন কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। এগুলো হচ্ছে দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করা, বিটিআরসির লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, অপারেটরদের মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া, কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানল গ্রামীণফোন।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com