শিরোনাম
ভয়াবহ ২১ আগস্ট হামলা মামলা
১৫ বছরে শেষ হয়নি বিচার
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০১৯, ০৯:৩৫
১৫ বছরে শেষ হয়নি বিচার
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

১৫ বছর পরও শেষ হয়নি আগস্ট বঙ্গবন্ধু হামলার বিচারকাজ। গত বছর বিচারিক আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্সসহ আসামিদের আপিল আবেদনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি সেই আপিলের শুনানি।


রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। এখন ডেথ রেফারেন্স মামলায় প্রথমত রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক তৈরি করে। পেপারবুক তৈরি হলেই আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।


এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম বলেন, বিডিআরের (বর্তমনা বিজিবি) মামলায় এরকম বিশেষ ব্যবস্থায় পেপারবুক তৈরি হয়েছিল। এ মামলাটিও আমি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের নজরে নেব, যেন পেপারবুক তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। পেপারবুক তৈরি হলেই ডেথ রেফারেন্স মামলাটি শুনানি হবে। ডেথ রেফারেন্স মামলার সঙ্গে সঙ্গেই অন্য যারা আপিল করেছেন, বা যারা জেল আপিল করেছেন, একইসঙ্গে শুনানি হবে।


‘এটি একটি রাজনৈতিক মামলা এবং রাজনৈতিক কারণেই রাজনৈতিক নেতাদের সাজা দেয়া হয়েছে’ বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, চারদিক থেকে গ্রেনেড হামলা করা হলো। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেল না। তারপর যারা ঊর্ধ্বতন ক্ষমতায় ছিলেন, তারাও গেলেন না। এ ঘটনার পরপরই মওলানা তাজউদ্দিনকে দেশত্যাগের সুযোগ দেয়া হলো। অন্য যারা এ হামলায় জড়িত, তারাও পালিয়ে যেতে সমর্থ হলেন। সবকিছুতে এটা স্পষ্ট- রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই এ হত্যাকাণ্ড। একটি রাজনৈতিক দলকে তার নেতা-নেত্রীসহ নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্যই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান বলেন, মামলাটির পেপারবুক তৈরির কাজ চলছে। এখনো পেপারবুক তৈরি শেষ হয়নি। পেপারবুক তৈরি হলেই আপিল শুনানি শুরু হবে।


গত বছরের ১০ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত।


রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। আরও ১১ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।


রায় ঘোষণার দেড় মাস পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুই মামলার রায়সহ প্রায় ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছে। এরপর এ মামলার পেপারবুক তৈরি করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।


গত ১৩ জানুয়ারি বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য গ্রহণ করেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।


গত ২১ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ আব্দুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এ মামলায় দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক দুই আইজিপি শহুদুল হক ও আশরাফুল হুদা জামিন নিয়ে নেন। এছাড়া ৪৪ আসামির আপিল আবেদন শুনানির জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।


২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেদিন অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।


ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com