শিরোনাম
‘দেশের ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিশাল পরিবর্তন আসবে, যদি... ’
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০১৭, ১৫:৪২
‘দেশের ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিশাল পরিবর্তন আসবে, যদি... ’
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ে মো. ইকরামের হাতেখড়ি ২০০৪ সালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স করে চাকরির আশায় না ঘুরে নিজের উদ্যোগে কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে ঘরে বসে শুরু করেন অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার। কঠোর পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফলে তিনি আজ সফল ফ্যিল্যান্সার। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফ্রিল্যান্সিং-বিষয়ক ব্লগ, জেনেসিসব্লগসডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ও একজন সেরা আইটি ব্লগার। গত একুশে বইমেলায় তার লেখা ‘ফ্রিল্যান্সিং গুরু : অনলাইন ইনকামের চাবিকাঠি’ প্রকাশিত এবং সব মহলে সমাদৃত হয়।


বর্তমানে তিনি সরকারের উদ্যোগে পরিচালিত ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।


সম্প্রতি রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ র‌্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিসের কার্যালয়ে বিবার্তা২৪ডটনেটের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সারাদেশের ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রশিক্ষণব্যবস্থা, ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবার্তা২৪ডটনেটের প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজ।



বিবার্তা : বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বর্তমান অবস্থা কেমন?


মো. ইকরাম : ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ যে তারুণ্য পেয়েছে, এখনো তা বলা যাবে না। বরং বলা যায়, আমরা এখনো শৈশবে আছি। কারণ হলো, ফ্রিল্যান্সিং মানে এখনো আমরা সবাই বুঝি মার্কেপ্লেসে কাজ করে আয় করা। কিন্তু দেশের ফ্রিল্যান্সিং অবস্থা তখনই তারুণ্য পাবে, যখন আমাদের এ ভাবনার উন্নতি হবে।


মনে রাখতে হবে, অনলাইন জগতের কাজের মাত্র ২০% কাজ মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। আবার অন্যদিকে বায়ারের সাথে সম্পর্কটা অন্যের সাইটের (মার্কেটপ্লেস সাইট) মাধ্যমেই করতে হয়। অন্যের সাইটের ওপরই নিজেকে নির্ভর করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং জগত তখনই পরিপক্ক পর্যায়ে যাবে, যখন সবাই এসব মার্কেটপ্লেসের উপর নির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে নিজেকে কিংবা নিজের ওয়েবসাইটকে ব্রান্ড করে সেই ব্রান্ডের মাধ্যমে বায়ার জোগাড় করার কাজের দিকে ঝুঁকবে, যেটা বাংলাদেশের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান করছে।


‘জুমশেপারে’র নাম শুনে থাকবেন। বাংলাদেশের এ প্রতিষ্ঠান সারাবিশ্বে খুব সুনাম অর্জন করেছে। ভাবলে গর্ব হয়, আমাদের দেশের একটি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিভিন্ন প্রোগ্রামের স্পন্সরও হচ্ছে। ‘জুমশেপার’ মার্কেটপ্লেস হতে কাজ জোগাড় করে না, নিজেদের ব্রান্ডকে তারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠা করেছে।


এরকম আরও অনেক ‘জুমশেপার’ তৈরির চিন্তা নিয়ে সবাই আসা শুরু করলে এবং মানুষের মানসিকতাতে এরকম টার্গেট তৈরি হলেই ‘এদেশের ফ্রিল্যান্সিং জগত তারুণ্যে পৌঁছেছে’ বলা যাবে। তখন শিল্পপতিরা আইটি সেক্টরে বিশাল বিশাল ইনভেস্ট নিয়ে আসবে। তখন ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে পরিচয় দিতে এখনকার মতো সমস্যা আর থাকবে না।


বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকে ভালো সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। এর কারণ কী?


মো. ইকরাম : আমাদের দেশে তরুণ-তরুণীদের বড় একটা অংশ বেকার। এটা দেশের জন্য একটা বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য যদি তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান চাওয়া হয় তাহলে এর কোনো সমাধান নেই। সব বেকারকে চাকরি দেয়া্র জন্য প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলার জন্য প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট, প্রচুর জায়গা লাগবে, যা আমাদের দেশের মতো গরিব দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।


তাহলে সমাধান কি? সমাধান একটাই - অনলাইনে উন্নত দেশের হয়ে কাজ করা।


উন্নত বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক। তাই তারা তাদের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের খরচ প্রচুর কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে। আর তাই তারা যেসব দেশের মানুষদের শ্রমের মূল্য কম সেসব দেশগুলো হতে ভার্চুয়ালভাবে লোক নিয়োগ করছে। সারা বিশ্বের কর্মক্ষেত্রকে যখন হিসেব করি, তখন চাকরির জন্য প্রচুর সেক্টর রয়েছে। তাই কারও বেকার থাকার সুযোগ নেই। যতদিন যাবে, ফ্রিল্যান্সিং জগতটা বাংলাদেশের মতো অনুন্নত দেশগুলোর জন্য তো বটেই, যেকোন দেশের মানুষদের জন্যই আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করবে।



বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কি কি সমস্যা রয়েছে?


মো. ইকরাম : বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা খুবই দুর্বল। ইংরেজিতে আমাদের ভাল দখল নেই। প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নেয়ার পরেও একজন ফ্রিল্যান্সার ফ্লুয়েন্টলি ইংরেজিতে কথা বলতে ও লেখতে পারি না। আবার বায়ারদের সাথে কোনো কিছু লেখার সময় যেসব ভদ্রতার টার্ম ব্যবহার করতে হয়, এবিষয়ে আমাদের অনেকেরই দক্ষতা নেই। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করি, ফ্রিল্যান্সিংকে যারা পেশা হিসেবে নেয়ার চিন্তা করছি, তাদের সবারই এই দক্ষতা অর্জন ছাড়া বিকল্প নেই।


আমার মতে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় একটু পরিবর্তন আনা দরকার। শিক্ষাব্যবস্থায় যদি ইংরেজিটাকে আরো জোর দেয়া যায় তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবাই ভাল করবে। কেননা বায়ারদের সাথে শুদ্ধ ইংরেজিতে সুষ্ঠুভাবে যোগাযোগ করতে না পারলে ভাল কাজ পাওয়া অনেক কঠিন।


অন্য একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ইন্টারনেট। ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পে কাজ করার সুবাদে বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে দেখার সুযোগ হয়। এখনো অনেক জায়গায় পুরোপুরি ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। পৌঁছালেও দাম অনেক বেশি। আবার কোনো কোনো জায়গায় ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট তো দূরের কথা, মোবাইলের ইন্টারনেটও ঠিক মতো পাওয়া যায় না। কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে এ অবস্থা বেশি। তাই এ অবস্থা থাকলে আমরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে অর্জনটা চাচ্ছি তা সম্ভব না। হাতেগোনা কয়েকটি জেলা ছাড়া বেশির ভাগ জেলার ইন্টারনেটের অবস্থা খুবই নাজুক।


আরেকটা সমস্যা হলো পেপ্যাল। মার্কেটপ্লেসে যারা কাজ করেন তাদের জন্য পেপ্যাল প্রয়োজন নাই। কিন্তু মার্কেটপ্লেসের বাইরে গিয়ে যখন কেউ বায়ারের সাথে সারাসরি কাজ করেন, তখন বায়ার পেপ্যাল ছাড়া পেমেন্ট করতে চান না। সেজন্য এদেশে যখন পেপ্যাল চালু হবে, তখন আমাদের ইনকাম অনেকগুণ বেড়ে যাবে।



বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিংয়ের পদবিকে কি পেশা বলা যাবে?


মো. ইকরাম : ফ্রিল্যান্সিংটা এখনও যেহেতু শৈশব অবস্থায় আছে তাই অনেকই ভাবেন সারাজীবন এ কাজ করে কী ঠিকঠাক মতো জীবন চালানো যাবে? মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবো ‍কিনা।


ফ্রিল্যান্সিংকে বর্তমানে সবাই শেয়ার ব্যবসার মতো অতিরিক্ত ও অনিশ্চিত ইনকাম মনে করেন। আমার মতে, যখন ফ্রিল্যান্সিংটা শিশু অবস্থা থেকে তারুণ্যে পা দেবে তখন সবাই এটাকে নিয়ে একটা নির্ভরতা খুঁজে পাবেন। ইতোমধ্যেই এটাকে বেগবান করতে সরকার তৃণমূল পর্যায়ে নানান পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বাস্তবায়নও করছে। আশা করি, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের মানুষদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং অবস্থাগুলো সম্পর্কে ধারণা পরিবর্তন হবে। তখন ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে দেখতেই সবাই গর্ববোধ করবে।


বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীতা কতটুকু?


মো. ইকরাম : ফ্রিল্যান্সিংয়ের ভিত্তি তৈরি করার জন্য একটা স্ট্রাকচার বেইসড প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণের অবশ্যই দরকার রয়েছে। তবে এই শিক্ষাটাই একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য যথেষ্ট না। এটা একজন ফ্রিল্যান্সারকে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত করে। কেউ যদি মনে করে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য এই শিক্ষাই যথেষ্ট, তাহলে ভুল করবে। কারণ প্রশিক্ষণে যে শিক্ষা দেয়া হয় সেটা একটা সিলেবাসনির্ভর। কিন্তু গ্লোবাল মার্কেটে ব্যবহারিকভাবে কাজ করতে গেলে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এই মার্কেটে কাজ করার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারের কোয়ালিটির লেভেল অনেক উচ্চ হতে হয়। আর এই তিন/চার মাসের প্রশিক্ষণে এটা করা সম্ভব না। প্রতিষ্ঠানে শুধু ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রাথমিক জ্ঞান দেয়া হয়। এর বাইরেও নিজেকে তৈরি করার জন্য অনেক কিছু শিখতে হবে।



বিবার্তা : সরকারের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্প দেশের ফ্রিল্যান্সিং তৈরিতে কতটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন?


মো. ইকরাম : সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু এই তিন মাসের প্রশিক্ষণে বড় মাপের দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব না। এই প্রশিক্ষণের শিক্ষা দিয়ে একজন ফ্রিল্যান্সারের পক্ষে নিয়মিত কাজ করে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব না। পেশা হিসেবে নিতে গেলে নিয়মিত তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম করতে হবে। আর সে দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে কেউ বড় ধরনের ফ্রিল্যন্সার হতে পারবে না। এর জন্য তিন মাসের সিলেবাসের বাইরেও তাকে আনেক শিক্ষা নিতে হবে। তিন মাসের প্রশিক্ষণটা ফ্রিল্যান্সিং শুরুর জন্য ঠিক আছে। আমাদের ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের স্টুডেন্টরা ইতোমধ্যেই অনেকেই ইনকাম শুরু করছে এবং ভালই ইনকাম করছে । অনেকেই দুই মাস প্রশিক্ষণের পরেই ২ হাজার ডলার ইনকাম করেছে।


অনেকেই বলেন, একমাস, দুই মাস বা তিন মাসের প্রশিক্ষণে কোনো ইনকাম করা সম্ভব না। আমি বলবো, এক দিনের প্রশিক্ষণেও ইনকাম করা সম্ভব। যেমন অনেক আছে একদিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই ফেসবুক পেজ খুলে ইনকাম শুরু করছে। একটা ফেসবুক পেজ খুলতে তো আর ৩০ মিনিটের বেশি লাগে না। আবার একটা ক্লাসে ইমেইল মার্কেটিং শিখেই একজন ভাল ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু আসল বিষয় হলো, এই ইনকামটা একটা লিমিটের মধ্যে থাকবে। এমনকি একটা পর্যায়ে গিয়ে এটা আর নাও থাকতে পারে। সরকার তিন মাসের প্রশিক্ষণে তরুণ-তরুণীদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিচ্ছে। বাকিটা নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে।


এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে যেন শুধু প্রশিক্ষণ দিয়েই তাদের ছেড়ে না দেই। এক বছর পর্যন্ত যেন তাদের মেন্টরিং সাপোর্ট দেই। এ জন্য আমাদের এক বছর ধরে তাদের এই সাপোর্ট দিতে হবে। আবার প্রত্যেক জেলাতে নির্দিষ্ট বাসা নেয়া হয়েছে, সেখানে স্টুডেন্টরা এসে থাকছে, একসাথে শিখছে এবং আমাদের এক্সপার্টদের সহযোগিতাও নিচ্ছে।


বিবার্তা : অনেককেই বলতে শোনা যায়, সরকারের পরিচালিত ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পের কোনো আউটপুট নেই। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?


মো. ইকরাম : আমার হিসেবমতে, এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। এদের অনেকেরই অনলাইন হতে মাসিক গড় আয় হচ্ছে ২০০০ ডলারের উপরে। যারা ২০০০ ডলার আয় করেছে তাদের ধরে নিতে হবে ভালমতো শিখেছে বলেই তারা এই ইনকাম করতে পারছে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসে লিখছেন ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং’ প্রকল্পে ভাল মানের ট্রেইনার নেই। আমাদের কক্সবাজার একজন ট্রেইনার আছেন যিনি এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ডলার ইনকাম করেছেন। চট্টগ্রামে চারজন ট্রেইনার আছেন যাদের প্রতি মাসে ২ হাজার ডলার ইনকাম করেন। একইভাবে কুমিল্লাতেও বেশ কয়েকজন ট্রেইনার আছেন। প্রতি জেলায় জেলায় আমাদের এই ধরনের ট্রেইনার রয়েছেন।


বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাইছেন?


মো. ইকরাম : দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী টার্গেট আগামী ২০২১ সাল নাগাদ দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। আর তিনি আইসিটি খাতে ৫০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। আমার মতে এটা সম্ভব এবং খুব সহজেই। যেভাবে পরিকল্পনানুসারে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য পূরণ করা সহজ। এখন একজন ফ্রিল্যান্সার ৫০০ ডলার আয় করেই মনে করেন অনেক ইনকাম করছেন। কিন্তু আগামী দুই বছর পর ফ্রিল্যান্সিং জগতটা এমন পর্যায়ে যাবে, তখন মাসে ৫০০০ ডলার ইনকাম করেও ওই একই ফ্রিল্যান্সারের মনে সন্তুষ্টি আসবে না। শুধু পেপ্যালটা এদেশে চালু হলে আর সেই সাথে ইন্টারনেট স্পীডটা যদি ভালো হয়, তাহলেই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং জগতে বিশাল পরিবর্তন চলে আসবে। বাংলাদেশ হতে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস তৈরি হবে, এ পজিশন আসবেই।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com