শিরোনাম
তরুণদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হোক : মুনির হাসান
প্রকাশ : ০৭ মে ২০১৭, ১৯:০৬
তরুণদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারিত হোক  :  মুনির হাসান
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশের তরুণ-তরুণীদের এগিয়ে নিতে গণিত, বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং ও প্রবলেম সলভিং নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন মুনির হাসান। তিনি বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক।


সম্প্রতি তিনি মুখোমুখি হন বিবার্তার। জানান প্রযুক্তি খাতের বর্তমান হালচাল, উদ্যোক্তা ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে নানান কথা। দীর্ঘ আলাপের কিছু চুম্বক অংশ বিবার্তার পাঠকদের জানাচ্ছেন প্রতিবেদক উজ্জ্বল এ গমেজ।


বিবার্তা : তথ্যপ্রযুক্তিতে তরুণদের এগিয়ে নিতে আপনি কী কী কাজ করছেন?


মুনির হাসান : আমি মূলত তরুণদের নিয়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করি। গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে এর মাধ্যমে সারাদেশের হাইস্কুলের ছেলে-মেয়েদের গণিত শিক্ষা এবং তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করি। পাশাপাশি তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে আগ্রহী করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম নিয়ে আমাদের আরেকটি সংগঠন আছে - বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। এই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা বছরজুড়েই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, ক্যাম্প, সেমিনার, ক্যারিয়ার মেলা, উদ্যোক্তা মেলা, প্রোগ্রামিং কনটেস্টসহ নানা প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকি। যেমন, মেয়েদের জন্য নিয়মিত আয়োজন করছি ‘গ্রেস হপার গার্লস প্রোগ্রামিং ক্যাম্প’, ও ‘এডা লাভলেস প্রোগ্রামিং ক্যাম্প’। আবার সরকারের ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আমরা বাস্তবায়ন সহযোগী। বিডিওএসএনের একটি উদ্যোগ ‘চাকরি খু্ঁজব না, চাকরি দেব’ ইত্যাদি।



বিবার্তা : তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বর্তমান অবস্থাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?


মুনির হাসান : বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সার্বিক মূল্যায়নে দেশ ভালো অবস্থানে আছে। ২০০৮-০৯ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের সংগ্রাম শুরু হয় তখন মানুষ বিষয়টা নিয়ে অনেক ঠাট্টা-তামাসা করতো। বলতো, যে দেশের মানুষ দু’বেলা পেটভরে খেতে পায় না, সে দেশ আবার ডিজিটাল হবে! বলতো, আগে বিদ্যুৎ দাও, শিক্ষার ব্যবস্থা করো, এটা দাও, সেটা দাও এসব। সেই অবস্থার বিচারে দেশ এখন ডিজিটালাইজেশনের দিক থেকে অনেক এগিয়েছে। এ কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে, এখানেই কিন্তু শেষ নয়, এটা একটা জার্নি, চলমান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটা আগাবে।


তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঘরে বসেই অনেক কাজ করা সম্ভব। একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই সমস্ত পৃথিবী চলে আসে হাতের মুঠোয়। আশার কথা হলো, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা কিছু একটা করতে চায়। এর বড় প্রমাণ তারা প্রচুর সময় দেয় তথ্যপ্রযুক্তিতে। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কাজের প্রতি তাদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। আইসিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে তারা দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করছে, নতুন কিছু করে দেশকে পরিবর্তন করতে চায়। এসব কাজ করতে গিয়ে তারা কখনওবা হোঁচটও খাচ্ছে। আবার তরুণদের জন্য সরকারিভাবে যে সমস্ত সুযোগ তৈরি হচ্ছে তা তারা নিতে শুরু করছে।



বিবার্তা : আমাদের দেশে উদ্যোক্তা সংস্কৃতি শুরু হলেও বেশির ভাগ উদ্যোক্তা ফেল করছে। কেন?


মুনির হাসান : উন্নত বিশ্বের মতো এখন আমাদের দেশেও তরুণ-তরুণীরা উদ্যোক্তা হতে চায়। সারাদেশে এখন উদ্যোক্তা সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। গত দুই বছরে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। তারা ফেল করে কেন? বিশ্বব্যাপী ৮৫ শতাংশ নতুন উদ্যোগ সফল হয় না। এটা সারা বিশ্বের একটা ধর্ম। কারণ হলো, যে জিনিসটা চিন্তা করে সেটা তো বাস্তবায়িত হয় না। একটা ধারণা, এটা যে ক্লিক করবে, সেটা নাও হতে পারে। যার ফলে দেখা যায় যে, মাইস্পেস ছিল, হাইফাইভ ছিল – কিন্তু সেগুলো বিকশিত হয়নি। শুধু ফেসবুক সাইন করেছে। কিন্তু ওই মাল্টিপল জায়গাগুলো যদি না থাকতো তাহলে ফেসবুক আজ দাঁড়াতো না। অনেকগুলো সার্চইঞ্জিন না হলে কিন্তু আজ গুগল হতো না। অনেকগুলো জিনিস হতে হবে, তাহলে কয়েকটা দাঁড়াবে। সিলিকন ভ্যালির একটি শ্লোগানই হলো, ‘একটি গুগল পাওয়ার তরে হাজার গুগল গড়ো’।


তাহলে আমাদের এখানে কেন ফেল করবে না? আমাদের আরো বেশি ফেল করার কথা। কেননা দেশে নতুন কোনো কিছু শুরু হলে নানা সমস্যা, বাধা-বিপত্তি আসবে। নতুনদের অভিজ্ঞতার অভাব থাকে। তারা আস্তে আস্তে হোঁচট খেয়ে খেয়ে শেখে। এটা মেনে নিয়েই এ কাজটা করতে হবে। আমার হিসাবে যদি এক হাজার স্টার্টআপ টিকাতে হয় তাহলে ১৫ হাজার স্টার্টআপ বানাতে হবে।


বিবার্তা : ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এ সমস্যা দূর করতে কি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করেন।


মুনির হাসান : আমাদের দেশে লাইসেন্স আইনটা হলো এমন কেউ যখন কোনো ট্রেড লাইসেন্স করতে যায় তখন তার একটা নিজস্ব ‘দোকান’ বা ‘জায়গা’ থাকতে হয়। দোকান মানে একটা ফিজিক্যাল এনটিটি। এখন তো ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ফিজিক্যাল এনটিটি ছাড়াও ব্যবসা হতে পারে। একটা ওয়েবসাইট দিয়ে ছোটখাটো ই-কমার্স ব্যবসা করা যায়। যার নামে লাইসন্সে দেয়া হবে তার জাতীয় পরিচয়পত্র আছে। তাহলে তার ফিজিক্যাল এনটিটি থাকতে হবে কেন? দরকার নাই। যে লোক আমার সঙ্গে ব্যবসা করবে সে লোক যদি ফিজিক্যাল এনটিটি ছাড়াই ব্যবসা করতে পারে, তাহলে সরকারের আপত্তি কি? এগুলোর পরিবর্তন দরকার। এগুলো বলতে হবে, তাহলেই তো একদিন চেঞ্জ হবে।


আমাদের সরকার অবশ্য এসব বিষয়ে খুবই পজেটিভ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার নানা ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকার স্টার্টআপদের সহায়তা করছে, সারাদেশে এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি করছে। এগুলো তো আগে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। এখন এগুলো সব পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে।



বিবার্তা : তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সীমাবদ্ধতা কি কি?


মুনির হাসান : এই সেক্টরে দুটা সমস্যা আছে। একটিা হলো যারা কাজ করে, এগিয়ে যায় তাদের গতিতে পলিসি কিন্তু দৌড়ায় না। আমাদের দেশে যদি কোনো আইন পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে অনেক সময় লাগে। এই প্রক্রিয়া অনেক লম্বা। যতদিন পর্যন্ত আপনি এই ট্রেড লাইসেন্স আইনটা সংশোধন করতে পারবেন না ততদিন পর্যন্ত তো আপনাকে একটা বাসা ভাড়া নিয়ে ব্যবসাটা চালাতে হবে। এই জায়গাটাতে একটু চেঞ্জ করতে হবে। আমাদের দেশে টেক্সি সার্ভিসের যে ধারণা তাতে উবারকে সাপোর্ট করা যায় না, চলোকে সাপোর্ট করা যায় না, পাঠাওকেও সাপোর্ট করা যায় না। তাহলে আপনাকে এগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে, নতুন নিয়ম বানিয়ে নিতে হবে। এই জায়গাটাতে একটু ভেবে চিন্তে যেতে হবে, তাড়াহুড়া করা যাবে না। কেননা আমরা তো আগে হাত পুড়েছি। আমাদের দেশে কোনো আইন করলে কোনো না কোনোভাবে কেউ আইনের ফাঁক বের করে ফেলে। আমাদের দেশের আইন সাপোর্ট করে না কিন্তু উবার কি ব্যবসা করছে না? আমি বলতে চাই, আমাদের দেশে কিন্তু যে কেউ কোনো কাজ শুরু করলে তাতে কেউ সেভাবে বাধা দেয় না। ওই সিস্টেমটা হতে একটু সময় লাগে। এই সময়টার মধ্যে যারা টিকতে পারে তারা টিকে যায়। আর যারা টিকতে পারে না তারা ঝরে যায়। আমাদের আরেকটা বড় ঝামেলা আছে সেটা হলো, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে গেছে মুখস্থনির্ভর। নতুন, ইনোভেটিভ কোনো আইডিয়াকে নারচার করতে দেয়া হয় না। এই দুটি জিনিস ঠিক করতে পারলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।


বিবার্তা : প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার ছেলে-মেয়ে আইটি গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে। কিন্তু বলা হয়, দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব। কারণ কী?


মুনির হাসান : আমাদের ইউনিভার্সিটি তো কর্মী তৈরি করে না, তৈরি করে গ্র্যাজুয়েট। আমাদের অনেকগুলো ভুল ধারণা আছে। যেমন,আমরা মনে করি, ইউনিভার্সিটি থেকে যে বের হবে তাকে পরের দিনই মার্কেট রেডি থাকতে হবে। এই ধারণাটাই ভুল। সারা পৃথিবীর ইউনিভার্সিটিতে গ্র্যাজুয়েটদের তৈরি করা হয় একটা স্ট্যান্ডার্ড জিনিস শেখানোর মাধ্যমে। সে কাজের উপযোগী হবে কিনা তাই সব জায়গায় ইনটার্নশীপ আছে, লার্নিং বাই ডুয়িং ব্যবস্থা আছে। যেমন এমআইটি গ্র্যাজুয়েটরা প্রত্যেকটা সামারে কোনো না কোনো কাজ করে। নানা ধরনের কাজের সঙ্গে তাদেরকে যুক্ত রাখা হয়। কারণ হলো পড়াশুনার সঙ্গে বাস্তব জীবনের সংযোগ রাখা। আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা নেই। কাজেই আমাদের দেশে যখন ইউনিভার্সিটি থেকে এজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট বেরিয়ে আসে তাকে তো প্রথমে একটা ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিতে হবে। এটা আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষরা দিতে চায় না। কেন দিতে চায় না কারণ তারা আবার এটাকে এফোর্ট করতে পারে না। মাঝখানে একটা গ্যাপ থেকেই যাচ্ছে। এই গ্যাপ সমস্যা সমাধানের সহজ উপায় হলো সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের ইনটার্নশীপের ব্যবস্থা করা। যা এখন শুরু হয়েছে। এই ধরনের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে যে ব্রিজটা করে দিচ্ছে এই ব্যবস্থা চলমান থাকলে আর কোনো সমস্যা হবে না।



বিবার্তা : দেশে আউটসোর্সিংয়ের জন্য মানসম্মত কাঠামো তৈরি হয়েছে কি?


মুনির হাসান : আমাদের দেশে যে অবকাঠামো তা ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য ঠিক আছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য যা যা লাগে এগুলো আমাদের সবই আছে। এখন বিষয় হলো যে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো হতে হলে অনেক ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং শেখার আগ্রহ লাগে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি কমিউনিকেশনের দক্ষতা লাগে, ইংরেজিতে ভালো দখল থাকতে হয়। সেই সময়টা তো তাদের দিতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখনও ওই লেভেলে যায়নি বলে আমরা এর সুফলটা এতো দেখছি না। তবে শুরু হয়েছে, দিন দিন বিকশিত হচ্ছে।আরও সময় লাগবে।


বিবার্তা : ফ্রিল্যান্সিংকে অনেকে ভালো সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন। এর কারণ কী?


মুনির হাসান : সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং একটা সম্ভাবনাময় পেশা। কেননা সবাই এখন টাকা বাঁচানোর জন্য একটা কাজকে বিভিন্নজনকে দিয়ে অল্প টাকায় করিয়ে নিতে চায়। প্রযুক্তির যুগে প্রচুর কাজ আছে যেগুলো রিমোটলি করে ফেলা যায়। আগে যেমন ফিজিক্যালি গিয়ে কাজ করতে হতো, এখন তো কাপড় ধোয়া ছাড়া তো সব কাজই ঘরে বসেই ইন্টারনেট আর ল্যাপটপের মাধ্যমে করে দেয়া যায়। যেহেতু কম টাকায় সব কাজ ঘরে বসেই করিয়ে নেয়া যায় সে জন্যই আউটসোর্সিংয়ের বাজারটা অনেক বড় ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একটা ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ হলেই এই পেশায় ঘরে বসেই মাসে আয় করা যায় হাজার ডলার। বিশ্ববাজারে আউটসোর্সিংয়ের ব্যবসাটা ৬শ’ বিলিয়ন ডলারের। সেখান থেকে যদি আমরা ১% নিয়ে আসি তাহলে হবে ৬ বিলিয়ন। আমাদের টার্গেট হলো ৫ বিলিয়ন।


বিবার্তা : তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চাইছেন?


মুনির হাসান : আমাদের দেশের তরুণরা অনেক ট্যালেন্টেড। তাদের অফুরান সম্ভাবনা আছে। আমাদের রয়েছে অনেক দক্ষ তরুণ-তরুণী। তাই আমাদের এখন কাজ হবে সারাবিশ্বকে এসব ট্যালেন্টেড তরুণ ও দক্ষ লোকদের কথা জানানো এবং আমাদের বলতে হবে তাদেরকে তোমরা ব্যবহার করো। বাংলাদেশ একদিন হবে দক্ষ তরুণদের জায়গা। আমাদের কাজ হবে তাদের জন্য কাজের সুযোগ ও পরিবেশ গড়ে দেয়া। শুধু সরকার একা করলে তো হবে না। এই লক্ষ্য পূরণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। তাই আমিও আমার জায়গা থেকে একটু একটু করে কাজ করে যাচ্ছি।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com