শিরোনাম
প্রথম ৫০ বছরে ঢাবির প্রধান অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ : অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২১, ১৫:৪৫
প্রথম ৫০ বছরে ঢাবির প্রধান অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ : অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ড. মুহাম্মদ সামাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অতিথি অধ্যাপক হিসেবে পড়িয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইনোনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।২০০৯ সালে সমাজকর্ম শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ওয়াশিংটনস্থ সিএসডবি উই পরিচালিত ‘ক্যাথেরিন ক্যান্ডাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল ওয়ার্ক এডুকেশন’ -এর ফেলো হিসেবে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্মের উচ্চশিক্ষার তুলনামূলক অবস্থার ওপর গবেষণা করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস)-এর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ এই অমর পঙক্তির রচয়িতা বিশিষ্ট এই কবি চীনের সাহিত্যভিত্তিক তিনটি প্রতিষ্ঠান ঘোষিত ‘দ্য প্রাইজেস ২০১৮ : দ্য ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট পোয়েট’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ কবি’ মনোনীত হয়েছেন। কাব্যক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২০ অর্জন করেছেন তিনি।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে একান্ত আলাপচারিতায় কথা বলেছেন। তাঁর সে আলাপের চুম্বক অংশটুকু বিবার্তা২৪ ডটনেটের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।



বিবার্তা : শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সফলতা কী?


ড. মুহাম্মদ সামাদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তিতে সবাইকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রথম ৫০ বছরে একদিকে উচ্চশিক্ষার আলো ছড়িয়েছে এ অঞ্চলে; অন্যদিকে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করে তাদের বুদ্ধিমত্তায় রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তিকে তরান্বিত করেছে। তাই প্রথম ৫০ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অর্জন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমরা আনন্দিত যে, আইনের ছাত্র হিসেবে ১৯৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তৎকালীন পুর্ববঙ্গে যাঁর রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্রষ্টা ও সেই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী একই সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের অন্যতম কর্মসূচি হিসেবে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতির পিতাকে মরণোত্তর সম্মানসূচক "ডক্টর অব ল'জ" ডিগ্রি প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে আরো গৌরবান্বিত হবে।


বিবার্তা : এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতার দিকটি আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?


ড. মুহাম্মদ সামাদ : সফলতা ও ব্যর্থতা আপেক্ষিক। সামগ্রিক সমাজ বাস্তবতায় আমাদের প্রধান কাজ গ্রাজুয়েট তৈরি করা, যারা মানবসম্পদ হিসেবে দেশ পরিচালনায় কাজ করবেন। সেটা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত গবেষণা করা। এখানে অর্থের চেয়ে ইচ্ছা বা স্পৃহা অধিক প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। ব্রুনো, কোপারনিকাস, আইনস্টাইন, নিউটন, মাদাম কুরি, সত্যেন বোস, জগদীশ চন্দ্র বসু প্রমুখের আগ্রহই তাঁদের আবিস্কার-উদ্ভাবনে ব্রতী করেছে। তেমন মানুষ কই? তা ছাড়া ভেতরে জ্ঞানের শক্তি, বিদ্যার বল কমেছে সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দক্ষ পরিচালনার অভাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অনেক সংস্কার আবশ্যক।


বিবার্তা : কোন কোন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?


ড. মুহাম্মদ সামাদ : প্রথমত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাঠদান প্রভাষক থেকে অধ্যাপক পর্যন্ত কাঠামোবদ্ধ করতে হবে। আগ্রহী গবেষকদের জন্যে তহবিলের যোগান দিতে হবে। শিক্ষকদের সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সেতুবন্ধ তৈরি করতে হবে। একই ধরনের কোর্স পড়ানো হয় এমন বিভাগ/ইনস্টিটিউটগুলোর মধ্যে সিলেবাস সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে। হল প্রশাসন অধিক কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের তদারকি বাড়াতে হবে। সবাই যাতে স্ব-স্ব দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারে তার জন্যে টিম ওয়ার্ক খুবই জরুরি।


বিবার্তা : শিক্ষকদের মধ্যে তো দুই/তিনটি দল রয়েছে। সেক্ষেত্রে মতভেদ দেখা দিতে পারে. . .


ড. মুহাম্মদ সামাদ : একথা সত্যি। তবে মনে রাখতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের লালন ক্ষেত্র। বৃহত্তর কল্যাণের জন্যে সর্বোচ্চ সহনশীলতা প্রদর্শন করে মত-বৈচিত্রের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেয়া প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব। সেটা করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে স্বস্তি আসবে এবং সকলে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।



বিবার্তা : দিনের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে দেশ সেবায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভূমিকা কি হবে?


ড. মুহাম্মদ সামাদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি সর্বজনীন বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়তে সবার সঙ্গে একযোগে কাজ করে যেতে হবে।


বিবার্তা : আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য বিবার্তার পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার।


ড. মুহাম্মদ সামাদ : তোমাকেও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।


বিবার্তা/রাসেল/গমেজ/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com