শিরোনাম
তৃণমূলের জন্য ‘ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:০০
তৃণমূলের জন্য ‘ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার হাবীব আহ্সান। ছোটবেলায় পারিবারিক শিক্ষা থেকে বঙ্গবন্ধুকে জেনেছেন। জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছেন। সে চেতনাকে মননে ধারণ করে ছাত্ররাজনীতিতে তার পথচলা শুরু।


বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাবছর যে দিবসগুলো পালন করে, ইতিহাসের যে বিষয়গুলোকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রদ্ধা করে, ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকক্ষেত্রে সেসব বিষয়ে জানেন না। আর এ বিষয়টি খন্দকার হাবীব আহ্সানকে ভাবিয়ে তোলে। বিষয়গুলোকে নিয়ে লিখে ফেলেন একটি বই। নাম দেন ‘ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’। আগামী প্রকাশনী থেকে বইটি অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন রায়হান রনি।



ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বইয়ের প্রচ্ছদ


সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিবার্তার সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ বিজ্ঞান-বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার হাবীব আহ্সান। তার লিখিত ‘ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ বইসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার দীর্ঘ আলাপচারিতার চুম্বক অংশ বিবার্তার পাঠকদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো।


বিবার্তা: সংক্ষেপে আপনার পরিচয় জানতে চাই।


খন্দকার হাবীব আহ্সান : ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় আমার জন্ম। সেখানেই বেড়ে ওঠা। পারিবারিক শিক্ষা থেকে বঙ্গবন্ধুকে জেনেছি। ছোটবেলা থেকে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার, প্রগতিশীল মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছি। পরবর্তীতে কলেজ জীবন থেকে ছাত্ররাজনীতি শুরু। সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলাম। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক পদে আছি।


বিবার্তা : কোন ভাবনা থেকে ‘ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ বইটি লিখলেন?


খন্দকার হাবীব আহ্সান : ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিহাসের অনেককে শ্রদ্ধা করে, অনেক দিবসকে শ্রদ্ধা জানায়। অথচ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যারা নতুন এসেছেন কিংবা রাজনীতিতে এখনো নবীন তারা এসব দিবস সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। আবার অনেকে আছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করার পরেও এসব বিষয়ে তেমন জ্ঞান রাখেন না। অনেকে আবার দিবসের প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকলেও এবিষয়ে তারা তেমন একটা জানেন না। এটা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে উপলব্ধি হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো সমন্বিত লেখা আছে কিনা আমি তা খুঁজতে থাকি। কিন্তু আমি দেখলাম এ বিষয়ে কোনো সমন্বিত লেখালেখি নাই। এমনকি কোনো বইও পেলাম না এ বিষয়ে। তখন আমি ভাবলাম, একটি বইয়ের মাধ্যমে জানা যেতে পারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এ দিবসগুলো সম্পর্কে।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে খন্দকার হাবীব আহ্সান


বিবার্তা : বইটির তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করেছেন?


খন্দকার হাবীব আহ্সান : বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে সকল নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে, স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের যে নেতাকর্মীরা লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, বিভিন্ন সময়ে দেশের জন্য, অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করতে গিয়ে, প্রগতিশীল মানসিকতা লালন করতে গিয়ে ছাত্রলীগের যে সকল নেতাকর্মীরা আত্মহুতি দিয়েছেন কিংবা যারা স্মরণীয় তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে, তৃণমূলে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ছাত্রলীগের পালন করা প্রত্যেকটি দিবসের উপরে একটি করে আর্টিকেল লিখে বইটি লিখেছি।


বিবার্তা : ছাত্রলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ বই লিখেছেন।তাদের উদ্দেশে কি বলবেন?


খন্দকার হাবীব আহ্সান : তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এতোটুকু মেসেজ দিতে চাই, আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে যখন জানতে চাই, আপনি কেন ছাত্রলীগ করেন? কিংবা আপনি কেন ছাত্ররাজনীতি করেন? তখন সবাই বলে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কিংবা শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির মূলনীতি ধারণ করতে ছাত্রলীগ করি।


আমি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলবো, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে, গঠনতান্ত্রিকভাবে যে দিবসগুলো পালন করছে, চেতনায় যে বিষয়গুলোকে লালন করছে, সে বিষয়গুলো জেনেই যাতে নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ করেন। ছাত্ররাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কোনটি? ছাত্রলীগের ইতিহাস কি ? বাংলাদেশের ইতিহাস যে ছাত্রলীগের ইতিহাস, এটি কিভাবে? এ বিষয়গুলো জানার জন্য আমার কাছে মনে হয় এ বইটি ছাত্রলীগের তৃণমূলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পড়া উচিত। আমি মনে করি, বইটি পড়ার মাধ্যমে তারা ছাত্রলীগের গঠনতান্ত্রিক চেতনা ধারণ করতে পারবেন।



ইতিহাস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বইয়ের লেখক ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার হাবীব আহ্সান


বিবার্তা : কার অনুপ্রেরণায় লেখালেখিতে আসলেন ?


খন্দকার হাবীব আহ্সান : ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলটা শিক্ষাকেন্দ্রিক এবং শিক্ষার পরিবেশের সাথে যেগুলো যায় সেগুলোকেন্দ্রিক।শিক্ষার্থীদের নিয়ে মূলত আমাদের কাজ। সুতরাং আমাদের শেখার প্রয়োজনীয়তা যেমন রয়েছে, একইসাথে আমাদের জানার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। জানতে গিয়ে যারা প্রগতিশীল লেখক আছেন তাদের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বিশেষ করে হুমায়ূন আজাদ স্যার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হুমায়ূন আজাদ স্যার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করার জন্য প্রগতিশীল বাংলাদেশ গঠনের জন্য কলম যুদ্ধে নেমেছিলেন। তার কাছ থেকে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের হাতে কলম তুলে দিয়েছেন। কলমের শক্তি দিয়ে আমরা কিভাবে মানুষের কাছে আমাদের চেতনাকে পৌঁছে দিতে পারি সেখান থেকেও পেয়েছি বই লেখালেখির অনুপ্রেরণা।


বিবার্তা : লেখালেখি নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কি ?


খন্দকার হাবীব আহ্সান : আমি যেহেতু ছাত্ররাজনীতি করি, সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পত্র-পত্রিকায় কলাম লিখতে চেষ্টা করি। যতদিন ছাত্ররাজনীতি করবো, ততদিন ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে কিংবা সমাজের যেসকল সমস্যা তরুণ প্রজন্মকেন্দ্রিক সেসব বিষয়ে আমার লেখালেখি চলতে থাকবে। লেখালেখিটা আমার পেশাকেন্দ্রিক না, বরং সময়ের প্রয়োজনে যখন যেটা প্রয়োজন হবে তখন লিখতে আগ্রহী।


বিবার্তা/রাসেল/উজ্জ্বল/জাই


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com