শিরোনাম
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতে ২৪ জনের প্রাণহানি
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০১৯, ১৩:৩৯
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতে ২৪ জনের প্রাণহানি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারী বৃষ্টিপাতে ভারতের হিমাচলপ্রদেশে ২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো নয়জন। নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েক জন।


লাগাতার বৃষ্টিতে যমুনার জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ায় বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গায়। তারই মধ্যে হরিয়ানার হথনীকুণ্ড বাঁধ থেকে আট লাখ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে যমুনায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাহায্য চেয়েছে রাজ্য সরকার।


হিমাচল প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে দু‘জন নেপালি। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরো নয়জন। কুলুতে বেড়াতে এসে আটকে পড়েছিলেন এক বিদেশিসহ ২৫ জন পর্যটক। খাবার এবং আশ্রয় ছাড়াই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে দু’দিন কাটে তাদের। সেই অবস্থা থেকে তাদের রবিবার উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় আরো অনেক পর্যটক এবং বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ আটকে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কালকা এবং শিমলার মধ্যে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে। শিমলা, সোলান, কুলু এবং বিলাসপুর জেলার স্কুলগুলি সোমবারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


হিমাচলের পাশাপাশি আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের একাংশও। তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে। নিখোঁজ অন্তত ২২ জন। হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে উত্তরকাশী জেলার একাধিক গ্রাম। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। গাড়ি সমেত দেহরাদূনে জলের তোড়ে ভেসে যান এক মহিলা। জলের তোড়ে একাধিক বাড়ি ধসে পড়েছে পঞ্জাবেও। বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে সেখানে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।


তবে এই মুহূর্তে উত্তর ভারতের পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বরং আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনার জলস্তর বিপদসীমা ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা নিয়ে দিল্লিবাসীকে ইতোমধ্যেই সতর্ক করেছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে যারা বাস করেন, তাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।


বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে পড়শি রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও। গঙ্গা, যমুনা, ঘাঘরা, তিনটি নদীই ফুঁসছে সেখানে। বদায়ুঁ, গঢ়মুক্তেশ্বর, নারাউরা এবং ফারুখাবাদে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। পালিয়া কালানে সারদা নদী এবং এলগিন ব্রিজ এলাকায় ঘাঘরা নদীও বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। সূত্র: আনন্দ বাজার পত্রিকা


বিবার্তা/তাওহীদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com