বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদের উদ্দেশে যান পাঠালো ভারত। সোমবার (২২ জুলাই) দুপুরে রকেট বা বাহুবলীতে চেপে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান-২।
সফল উৎক্ষেপণকে সামনে রেখে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে কাউন্ট ডাউন শুরু করে ইসরো। কিছুক্ষণ আগে চন্দ্রযান ২ এর উৎক্ষেপণ করে দেশটি। এর আগে ১৫ জুলাই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একেবারে শেষ মুহূর্তে উৎক্ষেপণ স্থগিত করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখবে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। ৪৩.৪৩ মিটারের GSLV মার্ক থ্রি ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট।
ভারতের আশা, চন্দ্রযান–২ প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এজন্য ভারত ১৫ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। চন্দ্রযান–২–এর লক্ষ্য ছিল চাঁদে পানি, খনিজ পদার্থের খোঁজ করা। যাত্রা সফল হলে ভারত হতো চতুর্থ দেশ, যাদের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রধান কে শিবন বলেন, মহাকাশ সংস্থা এর আগে এত জটিল অভিযান চালায়নি। যাত্রা সফল হলো। এটি সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চন্দ্রযানের চাঁদের দক্ষিণে পৌঁছানোর কথা। ২০০৮ সালে ভারত প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান–১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান–১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে পানির খোঁজ চালায়।
চন্দ্রযান–২ অভিযানে ভারত খুবই শক্তিশালী রকেট ব্যবহার করেছে। এ রকেটের ওজন ৬৪০ টন। উচ্চতা ১৪৪ ফুট। এটি ১৪ তলা ভবনের সমান উঁচু। মহাকাশযানটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কেজি। অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার নামে এর তিনটি আলাদা অংশ আছে। অরবিটারের কাজ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি নেওয়া।
বিক্রম নামে ল্যান্ডারের কাজ চাঁদে মাটির খোঁজ করা। আর প্রজ্ঞান নামে রোভারের কাজ পৃথিবীতে বিশ্লেষণের জন্য চাঁদের ছবি ও তথ্য পাঠানো।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]