টানা তিনবার দিল্লির নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
শীলা দীক্ষিত এ বছরের জানুয়ারি থেকে দিল্লি কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দলের পক্ষ থেকে টুইটারে লেখা হয়, ‘শীলা দীক্ষিতের প্রয়াণে আমরা শোকাহত। আজীবন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তিন তিন বার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দিল্লির ভোলই পাল্টে দিয়েছিলেন। তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সমবেদনা জানাই।’
শীলা দীক্ষিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লেখেন, ‘শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। প্রাণবন্ত এবং অমায়িক ব্যক্তিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। দিল্লির উন্নয়নে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তার পরিবার ও সমর্থকদের সমবেদনা জানাই।’
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে লেখেন, ‘তার হাতেই দিল্লির ভোল পাল্টে যায়। এ জন্য চির দিন মানুষ তাকে মনে রাখবেন। তার পরিবার এবং সহযোগীদের সমবেদনা জানাই।’
শোকপ্রকাশ করে রাহুল গান্ধী টুইটারে লেখেন, ‘কংগ্রেসের স্নেহভাজন কন্যা, ব্যক্তিগত ভাবে যার ঘনিষ্ঠ ছিলাম, সেই শীলা দীক্ষিতজির প্রয়াণে বিধ্বস্ত আমি। তিন দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে গেছেন। তার পরিবার এবং দিল্লিবাসীকে সমবেদনা জানাই।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিন দফায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শীলা দীক্ষিত। তার আমলেই আমূল পাল্টে যায় রাজধানীর পরিকাঠামো। সড়ক এবং উড়ালসেতু নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দেন তিনি। রাশ টানেন পরিবেশ দূষণে। সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকেও সহজলভ্য করে তোলেন।
২০১৩ সালে অরবিন্দ কেজরীবালের কাছে পরাজিত হলে, পরের বছরই কেরালার রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেন শীলা দীক্ষিত। কিন্তু চার মাস পরই সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এ বছর লোকসভা নির্বাচনেও উত্তর-পূর্ব দিল্লি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির মনোজ তিওয়ারির কাছে পরাজিত হন। তবে তা সত্ত্বেও হার মানেনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ইন্দিরা গান্ধী সরকারের সাবেক মন্ত্রী উমাশঙ্কর দীক্ষিতের পুত্রবধূ শীলা দীক্ষিত। তার ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতও কংগ্রেস নেতা।
বিবার্তা/লতিফুর/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]