শিরোনাম
ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে ৪৫৬ জনের মৃত্যু, সতর্কতা জারি
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৯, ০৮:১৪
ফিলিপাইনে ডেঙ্গুতে ৪৫৬ জনের মৃত্যু, সতর্কতা জারি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ফিলিপাইনে গত আট মাসে এক লাখের বেশি মানুষ ভাইরাস জ্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এ অবস্থায় দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ‘জাতীয় ডেঙ্গু সতর্কতা’ জারি করেছে।


২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে ফিলিপাইনজুড়ে প্রায় এক লাখ মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি। খবর সিএনএন।


দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো- মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করা, মশা নিরোধকের ব্যবহার এবং রোগের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেয়ার পরপরই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।


স্বাস্থ্য সচিব ফ্রান্সিসো ডুকে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিলিপাইনের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু প্রতি তিন থেকে চার বছর পর পর বেড়ে যায়। ২০১৬ সালে দেশব্যাপী এ রোগের তীব্র প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার রোগটি ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে আগে থেকে ধারণা করেছিলাম।’


দেশের চারটি অঞ্চলে মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। চারটি অঞ্চল হলো- মিমারোপ, পশ্চিম ভিসায়াস, কেন্দ্রীয় ভিসায়াস এবং উত্তর মিন্দানাও। এ অঞ্চলগুলোতে ২০ মিলিয়নেরও বেশি লোক বসবাস করছে, যা ফিলিপাইনের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ।


এক রিপোর্টে বলা হয়, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অন্যান্য অঞ্চলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। যার মধ্যে রয়েছে ফিলিপিনো রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতার্তের নিজ প্রদেশ দাভায়োও। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, ডেঙ্গু এখনো জাতীয় মহামারী হয়নি। সমস্যাটি এখনো স্থানীয় মহামারী পর্যায়ে আছে।


ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাল সংক্রমণ। ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে- তীব্র মাথা ব্যাথা, পেশী এবং জয়েন্টে ব্যথা, জ্বর এবং পুরো শরীরে র‌্যাশ।


ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ডেঙ্গু সংক্রামিত প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে আনুমানিক পাঁচ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এদের সাড়ে ১২ হাজার জন মারা যায়।


শুধু ফিলিপাইন নয়, ভারত ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতেও প্রায়ই ডেঙ্গু দেখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ায় ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া চিকুনগুনিয়া, হলুদ জ্বর এবং জিকা ভাইরাসও বেড়ে যেতে পারে। এসবে আক্রান্ত হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও জাপানের মতো দেশ।


দেশব্যাপী হামের প্রাদুর্ভাবের পাশাপাশি ফিলিপাইনে হঠাৎ করে ডেঙ্গু দেখা দিল। কর্তৃপক্ষ বলছে, হামে এ বছর ২০১৮ সালের তুলনায় বেশি মানুষ মারা গেছে এবং ২৬ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সূত্র : সিএনএন।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com