শিরোনাম
খামেনির কার্যালয় ও সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০১৯, ০৯:১৩
খামেনির কার্যালয় ও সম্পদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞায় সাক্ষর করেছেন, যার আওতায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা রয়েছে।


ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করা ও আরো কিছু কারণে অতিরিক্ত এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে।


এই নিষেধাজ্ঞাকে ইরানের প্রতি ‘শক্ত ও উচিত জবাব’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, আমরা কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব চাই না। এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ইরানের ওপর নির্ভর করছে। ইরান চাইলে আগামীকালই এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতে পারে। আর তা না হলে এখন থেকে এটি বছর থেকে বছর চলবে।


ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ এই নিষেধাজ্ঞাকে আমেরিকানদের ঘৃণ্য কূটনীতি হিসেবে অভিহিত করে এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যুদ্ধ করতে আগ্রহী।


সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।


যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, আট সিনিয়র ইরানি কমান্ডার যারা দেশটির আমলাতন্ত্র ও ইসলামিক রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীকে দেখভাল করে তাদেরকেই লক্ষ্য করা হয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অফিসও।


যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, খামেনির অনেক সম্পদ আছে যা রিভলিউশনারি গার্ডকে সহায়তা করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধারণা এ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার।


ট্রাম্পের ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করার পর মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানুচিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওয়াশিংটন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনির দফতরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সেই সঙ্গে ইসলামি রিভলিউশনারি গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।


ওই আট কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন আইআরজিসির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি, আইআরজিসির অ্যারোস্পেস ডিভিশনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিযাদে এবং আইআরজিসির স্থলবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুর।


মার্কিন অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনবে যুক্তরাষ্ট্র।


তিনি দাবি করেন, নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে ইরানের শত শত কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করা হবে। তবে ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসে তাহলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।


এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারই অংশ হিসেবে নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।


২০১৮ সালের মে মাসে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর দু দেশের সম্পর্ক গড়ায় তিক্ততার দিকে।


পরে ইরানর ওপর আরো চাপ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি ইরানের কাছ থেকে যারা তেল ক্রয় করে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার পদক্ষেপ নেয় তারা।


পরে উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে কয়েকটি হামলার ঘটনাও ঘটে। এরপর ইরানি কর্মকর্তারা তাদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে।


এর কয়েকদিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটে। ইরান বলছে, ড্রোনটি তার ভূখণ্ডে এসেছিলো আর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিলো।


ইরানের বিপ্লবী রিভলিউশনারি গার্ড বলেছে, ড্রোন ভূপাতিত করে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দিয়েছে যে ইরানের সীমান্ত তাদের কাছে রেড লাইন। সূত্র: বিবিসি ও পার্সটুডে


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com