পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে বাধা দিতে ইরানের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, তেহরান তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখা হবে। আমরা অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি। কিছু ক্ষেত্রে খুব দ্রুত তা করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরে টুইটারে বলেন, সোমবার থেকে এই নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা যখন ক্রমশই বাড়ছে ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি এল।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সীমা বিষয়ে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সাথে ইরানের চুক্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে অনুযায়ী কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছিল ও ইরানকে তেল রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র গত বছর চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং নিষেধাজ্ঞাও জারি করে। যার ফলে ইরান আবারো অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হয় এবং তার মুদ্রার মান হ্রাস পায়।
শনিবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প বলেন, যদি ইরান একটি সমৃদ্ধ জাতি হতে চায়... তবে সেটি আমার কাছে ঠিক আছে। কিন্তু, তারা তা কখনোই হতে পারবে না যদি না তারা পাঁচ-ছয় বছর ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে থাকে।
২০১৬ সালের নির্বাচনী স্লোগানের মতো করে তিনি বলেন, ইরানকে আবার মহান বানান।
এসব কথার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার টুইট করে দেশটির ওপর বাড়তি কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা দেন, যা সোমবার থেকে কার্যকর হবে। নয়া নিষেধাজ্ঞা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ ইরানের জন্য আরো কঠিন করে দেবে।
৩৮ আরোহীসহ মার্কিন সামরিক বিমান গুলি করে ভূপাতিত না করায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ইরান যখন একটি মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে তখন ওই সামরিক বিমানটি একই এলাকার আকাশে ছিল।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ৩৮ আরোহীবাহী একটি বিমান সেখানে ছিল, সেটি কি আপনারা দেখেছেন? আমার মনে হয় এটি একটি বড় ঘটনা। তারা তাদের দৃষ্টিসীমায় এটি দেখেও তাতে গুলি করেনি। আমি মনে করি তারা এটা না করে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। তারা এটা না করায় আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করছি এটি ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত কাজ।
এদিকে গত বছর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ফলে ইরানের বিশেষ করে জ্বালানি, শিপিং ও আর্থিক খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিদেমি বিনিয়োগ কমে যায় ও তেল রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়।
নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন কোম্পানিগুলো দেশটির সাথে বাণিজ্য থেকে বিরত থাকলেও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো সম্পর্ক বজায় রেখেছিল।
স্থানীয় মুদ্রার দাম পড়ে যাওয়ায় দেশটিতে উৎপাদিত খাদ্যে প্রভাব পড়ে, দাম বেড়ে যায় মাংস বা ডিমের মতো খাদ্য সামগ্রীর। সূত্র: বিবিসি ও পার্সটুডে
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]