শিরোনাম
জনসন না হান্ট, কে হচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী?
প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৯, ১১:২৬
জনসন না হান্ট, কে হচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী?
বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেষ পর্যন্ত টিকে আছেন সাবেক ও বতর্মান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী- বরিস জনসন ও জেরেমি হান্ট। পঞ্চম ও শেষ দফা ভোটাভুটিতে মাইকেল গোভ ছিটকে পড়ায় এই দুইজনের একজন হবেন পরবর্তী সরকারপ্রধান।


বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ এমপিরা শেষ দফায় ভোট দেন। তাতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান পদের প্রতিদ্বন্দ্বী তিনজন থেকে শেষ দুইজনে নেমে আসে।


ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ ওই নির্বাচনে বরিস জনসন ১৬০ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ ভোট পেয়েছেন জেরেমি হান্ট। তার থেকে মাত্র দুই ভোট কম পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়লেন পরিবেশমন্ত্রী মাইকেল গোভ।


পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জনসন কিংবা হান্টকে বেছে নিতে ভোট দেবেন দেশটির টোরি দলের এক লাখ ৬০ হাজার সদস্য। জুলাই মাসের শেষের দিকে নির্বাচনের ফলাফল আসবে।


ব্রিটেনের হাউস অব কমন্সে বৃহস্পতিবারের পঞ্চম দফা ভোটাভুটিতে কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৩১৩ পার্লামেন্ট সদস্যের সবাই অংশ নেন।


নির্বাচনে বরিস জনসনের ভালো ফল করার বিষয়টি অনুমিতই ছিল। তবে দ্বিতীয় অবস্থানে কে থাকবেন, তা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে জেরেমি হান্ট ও মাইকেল গোভের মধ্যে।


বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকার পর এক টুইটে জনসন বলেছেন, অর্ধেক এমপির সমর্থন পেয়ে আমি সম্মানিত হয়েছি।


নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে বুকমেকারদের ফেভারিট তিনি। তিনি লন্ডনের সাবেক মেয়র ও তেরেসা মে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। ৫৪ বছর বয়সি জনসন গত বছর বোরকা পরিহিত নারীদের নিয়ে বক্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এটা খুবই হাস্যকর যে, মানুষকে লেটার বক্সের মতো সেজে বের হতে হবে।


২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ডেভিড ক্যামেরন।


এরপরই ব্রেক্সিট কার্যকরের দায়িত্ব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন তেরেসা মে। কিন্তু ইইউর সাথে আলোচনার পর তৈরি হওয়া ব্রেক্সিট চুক্তি সংসদে পাস করাতে ব্যর্থ হন তিনি। পরপর তিনবার চুক্তিটি সংসদে তুলেও সাংসদদের সমর্থন পাননি। এমনকি চুক্তি পাস হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়েও সফল হতে পারেননি মে।


নিজ দলের এমপিসহ মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যও মে'র ব্রেক্সিট চুক্তি মেনে নিতে পারেননি। ফলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনসহ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন।


এই অবস্থায় শুরুতে বিরোধী লেবার পার্টির সাথে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কাছেও যান মে। কিন্তু সেই আলোচনাও সফল হয়নি।


এভাবে একের পর এক চেষ্টা ভেস্তে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত দলের প্রধানের পদ থেকে সরে যান তেরেসা মে। তার বিদায়ের দলীয় প্রধানের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করে টোরি দল। সূত্র: ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com