শিরোনাম
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ জাতিসংঘ, মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০১৯, ১২:৪৫
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ জাতিসংঘ, মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ২০১৭ সালে সেনা হামলার ঠিক আগে দেশটির পরিস্থিতি মোকাবেলায় পদ্ধতিগত ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছে জাতিসংঘ।


বিশ্ব সংস্থাটির এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে এমন বক্তব্য দিয়ে বলা হয়েছে, সংকটকালে নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন না পাওয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করে।


এদিকে এই ব্যর্থতার দায়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তার ঊর্ধ্বতন এক সহকারী মিয়ানমারে জাতিসংঘের সাবেক আবাসিক সমন্বয়ক রেনেটা লক দেসালিনের পদত্যাগ দাবি করেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় কাজ করা এক সংগঠন ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন (এফআরসি)।


মিয়ানমারে কর্মরত থাকার সময়ে দেসালিনের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে এফআরসির মঙ্গলবার দেয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া জাতিসংঘের এক অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন গোপন করেছিলেন দেসালিন।


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার নীতি-নৈতিকতার এরকম মারাত্মক লঙ্ঘনের পরও দেসালিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জাতিসংঘ মহাসচিবের যথাযথ ভূমিকার অভাবেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তাদের অভিযোগ ব্যর্থতার জন্য দেসালিনকে দায়ী করার পরিবর্তে তাকে ভারতের জাতিসংঘের প্রধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে পুরস্কৃত করেছিলেন গুতেরেস।


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নৃশংস সেনা অভিযানের কারণে দেশটি থেকে সাত লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।


২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে পর্যালোচনা করতে গুয়েতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ট রোজেনথালকে এ বছরের শুরুতে নিয়োগ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।


রোজেনথাল সোমবার ৩৪ পাতার একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। যাতে বলা হয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা না করে খাপছাড়া কৌশল অবলম্বন করায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার সুযোগ হারিয়েছে জাতিসংঘ।


এতে আরো বলা হয়, সামগ্রিকভাবে জাতিসংঘের দায়িত্ব ছিল সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা কিন্তু সে কাজে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাটি।


রোজেনথাল বলেন, জাতিসংঘ তখন মিয়ানমারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ী করতে এবং একই সাথে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো। মিয়ামারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করতে যোগ্য ভূমিকা রাখেনি জাতিসংঘ। তবে তাদের উন্নয়নের ব্যাপারে প্রশংসার ব্যাপারে ইতিবাচক ছিল তারা।


তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিত্বে জাতিসংঘের সামষ্টিক সদস্যরাই এর জন্য দায়ী। যখন যেই সমর্থন প্রয়োজন ছিলো তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা


বিবার্তা/তাওহীদ/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com