শিরোনাম
লিবিয়া: ত্রিপোলি দখলের লড়াইয়ে নিহত ৩২
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:০৭
লিবিয়া: ত্রিপোলি দখলের লড়াইয়ে নিহত ৩২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছে খালিফা হাফতারের সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার একথা জানিয়েছে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রী আহমিদ ওমর লিবিয়ার আল আহরার রবিবার রাতে টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে মৃতের এ সংখ্যার কথা উল্লেখ করেন।


হাফতারের বাহিনী জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত তাদের ১৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।


ত্রিপোলির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী পূর্ব দিক থেকে রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সেরাজি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে হাফতারকে অভিযুক্ত করেছেন এবং বিদ্রোহীদের শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিরোধ করা হবে।


জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা মানবিক যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছিল কিন্তু সেটি উপেক্ষিত হয়েছে। জরুরি সেবা বিভাগগুলো জানিয়েছে, যেসব জায়গায় লড়াই হচ্ছে তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন না।


রাজধানী দক্ষিণে পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের চারপাশে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। এর আগে এই বিমানবন্দরটি দখলে নেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন জেনারেল হাফতার।


এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছে যুদ্ধ চলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং খলিফা হাফতারের সামরিক অভিযান দ্রুত বন্ধের আহবান জানাচ্ছে।


এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কার করতে চাই যে, আমরা খলিফা হাফতারের বাহিনীর চালানো সামরিক অভিযানের বিরোধী এবং আমরা লিবিয়ার রাজধানীর কাছে এই সামরিক অভিযান দ্রুত বন্ধের আহবান জানাচ্ছি।


পম্পেও জোর দিয়ে বলেন, সামরিকভাবে লিবিয়া সংঘাত সমাধান সম্ভব না। তিনি এ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে জরুরি ভিত্তিতে বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।


তিনি বলেন, ত্রিপোলিতে এই এক তরফা সামরিক অভিযান বেসামরিক নাগরিকদের চরম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে এবং লিবিয়ার জনগণের উজ্জল ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ঘাসান সালামের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক আলোচনা ফের শুরু করতে লিবিয়ার নেতাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের চাপ অব্যাহত রয়েছে।


তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে একটি রাজনৈতিক সমাধান হচ্ছে দেশটিকে একত্রিত করার একমাত্র উপায়। আর এই সমাধান লিবিয়ার সব মানুষের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের সুযোগ করে দিতে পারে।


লিবিয়ায় প্রয়াত শাসক মোয়াম্মের গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে উৎখাতের সময় থেকে দেশটি চরম বিশৃংখলার মধ্যে পড়ে। আর এর পর থেকে দেশটির পূর্বাঞ্চলে ত্রিপোলি ভিত্তিক বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ এবং হাফতারের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে।


রাজধানী দখলে হাফতার সামরিক অভিযান শুরুর তিনদিন পর রবিবার ত্রিপোলির দক্ষিণে প্রচণ্ড লড়াই হয়। বর্তমানে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সরকারি ইউনিট এবং মিলিশিয়া বাহিনীর হাতে রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। সূত্র: এএফপি


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com