ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ত্রাণ সহায়তা আনা হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট ও বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভেনেজুয়েলায় মার্কিন ত্রাণ পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চান তিনি।
মঙ্গলবার মাদুরোর পদত্যাগ ও ত্রাণের দাবিতে রাজধানী কারাকাসে বিরোধীদের এক বিক্ষোভ সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন মাদুরো সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে গুইদো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ভেনেজুয়েলায় প্রবেশে সামরিক বাহিনী যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে।
হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা আসবে। দেশ থেকে দখলদার (মাদুরো) চলে যেতে হবে।
রাজধানীর সমর্থকদের গুইদো এও বলেন, ভেনেজুয়েলায় মানবিক ত্রাণ ঢুকবে। তা না হলে আমাদের তিন লাখ নাগরিক রয়েছেন, যারা না খেয়ে মারা যাবেন। সেইসঙ্গে প্রায় দুই মিলিয়ন লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ত্রাণসামগ্রী যেন দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য করিডোর হিসেবে ব্যবহৃত একটি ব্রিজ খুলে দিতে কারাকাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোর অনুরোধে এসব ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে কলম্বিয়া সীমান্তের একটি ব্রিজ অবরোধ করে তা আটকে দেয় ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর অনুগত সেনারা।
মার্কিন সহায়তাকে ‘সম্মানহানি’র প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যায়িত করে মাদুরো বলেছেন, ভেনেজুয়েলার মানুষ ভিক্ষুক নয়। ফলে ওই ত্রাণ কিভাবে ভেনেজুয়েলায় পৌঁছাবে কিংবা আদৌ পৌঁছাবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে টুইটারে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
মাদুরোকে উৎখাত করার জন্য গত মাসে গুইদো আন্দোলনের ডাক দেন। সেসময় তিনি নিজেকে ‘অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণাও দিয়ে বসেন। একে আবার যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় ৫০টি দেশ স্বীকৃতিও দিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে ২০টি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
রাশিয়া এবং চীন সমর্থিত মাদুরোকে দ্রুত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এ জন্য আল্টিমেটামও দিয়েছিল। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকট, দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ।
মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সময়ে তেল সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ ভেনেজুয়েলার অর্থনীতি হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে হাইপারইনফ্ল্যাশন, মন্দা এবং খাদ্য ও ওষুধের মতো মৌলিক দ্রব্যেরও অভাব দেখা দেয় দেশটিতে।
বিবার্তা/মাইকেল/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]