ইথিওপীয় বংশোদ্ভূত সৌদি নাগরিক মোহাম্মদ আল আমোদি। তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের। প্রভাবশালী এই ব্যক্তিত্ব হঠাৎই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান। তিনি কোথায় আছেন, কী অবস্থায় আছেন তার কোনো হদিস নেই। এমনকি তার কোনো তথ্য জানা নেই তার পরিবারেরও।
একটানা ৪০০ দিন পর আবার হঠাৎ করেই ‘খোঁজ’ মিলেছে। জানা গেছে, সৌদির পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ‘দুর্নীতি আর ঘুষ’ দেয়ার অভিযোগে বিচারের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় বিশ্বজুড়ে টালমাতাল অবস্থা আমোদির ফিরে আসার খবরে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে তার পরিবার ও বন্ধু-স্বজন। দীর্ঘদিন নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে অনুপস্থিতি থাকলেও বিশ্বব্যাপী তার বাণিজ্য সাম্রাজ্য আরও বিস্তৃত হয়েছে। ব্ল–মবার্গের মতে, গত ৪০০ দিনে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৬০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৮৩০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে মনোনীত হওয়ার পরই নিজের ক্ষমতা আরও কুক্ষিগত করতে ২০১৭ সালের নভেম্বর হঠাৎই ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান’ শুরু করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ঘুষ ও দুর্নীতির ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০১ জনকে আটক করা হয়।
আধুনিক সৌদি আরবের ইতিহাসে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ে এমন ব্যাপক অভিযান বিরল বলে অভিহিত করেন বিশ্লেষকেরা।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ধনকুবের তালাল বিন আল ওয়ালিদ, সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহর পুত্র ও রাজধানী রিয়াদের সাবেক গভর্নর প্রিন্স তুর্কি বিন আবদুল্লাহ ও প্রসিদ্ধ সৌদি ব্যাংকিং গ্র“প মাহফুজ পরিবারের তিন ধনকুবের। একই সময় ‘হাওয়া’ হয়ে যান মোহাম্মদ আল-আমোদি। অন্য সবার খোঁজ মিললেও এতদিন ধরে ‘নিখোঁজ’ই ছিলেন তিনি।
বিবার্তা/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]