মেক্সিকোর সাথে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রবিবার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। এরপর ছয় ঘণ্টা পর সীমানা পুনরায় খুলে দেয়া হয়।
মেক্সিকোর তাইজুয়ানা নগরী থেকে নারী ও শিশুসহ শত শত শরণার্থী মার্কিন সীমান্তে ভিড় করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতির জন্য মার্কিন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে কয়েক হাজার আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসী সীমান্তে জড়ো হলে এই ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সহজ হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত অভিবাসনের আবেদন যাচাই শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মেক্সিকোতেই রাখা হবে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না।

ট্রাম্প মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়ার হুমকির মাত্র তিন দিন পর এ ঘটনা ঘটল। ক্যালিফোর্নিয়ার সানডিয়াগোর কর্মকর্তারা জানান, তারা সাময়িকভাবে সান ইসিদ্রো সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন।

এটি দুদেশের মধ্যে ব্যস্ততম সীমান্ত রুট। এই রুট দিয়ে যানবাহন ও মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। নির্দেশটি কয়েকঘন্টা পর তুলে নেয়া হয়।

শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থীদের এই ক্ষোভের পেছনে মার্কিন কর্তৃপক্ষের আবেদন যাচাইয়ে মন্থর গতি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি কয়েক হাজার অভিবাসী ও শরণার্থী মেক্সিকো সীমান্ত শহরে জড়ো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইছেন। এদের বেশিরভাগই সহিংসতা, দারিদ্র্যতা ও রাজনৈতিক নিপীড়ন এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় প্রার্থী।

এদিকে মার্কিন সীমান্তে সংঘর্ষের অভিযোগে পাঁচ শতাধিক শরণার্থীকে বিতাড়িত করবে মেক্সিকো। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রবিবার সহিংস ও অবৈধভাবে সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ সীমান্ত বেড়ার দিকে দৌঁড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে তাদের দিকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ছে মার্কিন সীমান্তরক্ষী কর্মীরা।

মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ৫০০ শরণার্থীর একটি গ্রুপ সহিংসভাবে সীমানা পেরানো চেষ্টা করেছিল। এদের মধ্যে যারা সহিংস ঘটনা সাথে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের শিগগিরই বিতাড়িত করা হবে। সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা ও বিবিসি

বিবার্তা/জাকিয়া