শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় এসব পরীক্ষার পাশাপাশি হচ্ছে মেয়েদের প্রেগনেন্সি টেস্টও! বিষয়টি শ্রুতিকটু হলেও ঘটনাটি কিন্তু একদমই সত্য। দেশটির আরুশা শহরের মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়া মেয়েদের প্রায়ই ‘প্রেগনেন্সি টেস্ট’ দিতে হয়। টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়লেই কপালে জোটে বহিষ্কারাদেশ!
সিএনএন বলছে, বছরে অন্তত দু’বার এই টেস্ট করা হয়। গ্রেড এইট বা ৮ম শ্রেণির উপরের মেয়েদের এ পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। প্রেসিডেন্টের কড়া নির্দেশ, টেস্টে পজিটিভ হলেই হতে হবে বহিষ্কার।
শহরটির একটি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রী এলিফুরাহা অশ্রুঝরা কণ্ঠে সিএনএনের কাছে বর্ণনা করেন এমনই এক বীভৎস কাহিনী, ‘সেদিন সব ছাত্রীদের স্কুলের একটি রুমে ডাকা হয়েছিল। নারী শিক্ষক আমাদের প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা শুরু করলেন। সে সময় তিনি আমাদের প্রত্যেকের তলপেট স্পর্শ করছিলেন।’
তখন এলিফুরাহা জানত যে সে একজন গর্ভবতী। তবে সে সময় তার শারীরিক পরিবর্তন (পেটের বৃদ্ধি) লুকানোর চেষ্টা ছিল দৃঢ়। কিন্তু এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হলো না তার। প্রেগনেন্সি টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় প্রকাশ্যে বহিষ্কার করা হয় তাকে।
এ বিষয়ে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি উল্লেখ করেন, ‘কোনো গর্ভবতী মেয়ে স্কুলে যেতে পারবে না। তারাই ইচ্ছে করে এ জীবনটি বেছে নিয়েছে, আর তাই তাদের নিরাপদে বাচ্চা জন্ম দিতে দিন।’ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত এক র্যালিতে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র : সিএনএন
বিবার্তা/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]