বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক অশোধিত তেল রফতানিকারক দেশ ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করার সম্ভাবনায় বৃহস্পতিবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক শতাংশ বেড়ে যায়। বাজারসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল শিল্পের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বলবৎ হলে জ্বালানি তেলের বাজারে সংকট দেখা দেবে। এ বছরের শেষ দিকে অথবা ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ১০০ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০১৮ সালের ভরা মৌসুমে ইরান প্রতিদিন ৩০ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল রফতানি করেছে, যা গোটা বিশ্বের মোট চাহিদার তিন শতাংশ। কিন্তু ক্রেতারা ইরান থেকে তেল আমদানি কমানোর মার্কিন চাপের মুখে নতি স্বীকার করায় চলতি সেপ্টেম্বরে ইরানের দৈনিক রফতানির পরিমাণ ১০ লাখ ব্যারেল কমে যায়।
এর পাশাপাশি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক-এর একটি সিদ্ধান্তও তেলের দামে অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ওপেক দেশগুলো শিগগিরই অশোধিত তেলের উৎপাদন না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। চাহিদা অনুযায়ী যোগান না-বাড়ায় তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে।
এদিকে আগামী মাস (অক্টোবর) থেকে তেলের দাম বাড়ছে সংযুক্ত আরব আমীরাতে। বিশ্ববাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়ার সাথে সঙ্গতি রাখতে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
১ অক্টোবর থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম বলবৎ হবে। এর ফলে প্রতি লিটার সুপার ৯৮ পেট্রোলের দাম ২.৫৯ দিরহাম থেকে বেড়ে ২.৬১ দিরহাম এবং প্রতি লিটার স্পেশ্যাল ৯৫ ক্যাটাগরি পেট্রোলের দাম ২.৪৮ দিরহাম থেকে বেড়ে ২.৫০ দিরহাম হবে।
এছাড়া ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১২ ফিল (পয়সা) বাড়বে। সেপ্টেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ২.৬৪ দিরহাম ছিল, অক্টোবরে তা বেড়ে হবে ২.৭৬ দিরহাম। সূত্র : খালিজ টাইমস
বিবার্তা/হুমায়ুন/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]