ওমানের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন সরকারি গাড়ি অপব্যবহারের আগে দু'বার ভাবেন, এমনকি সরকারি কাজে গেলেও। কারণ, দেশটির সরকারি গাড়িতে ইতিমধ্যে ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগানো হয়েছে।
আঞ্চলিক পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, খরচ কমানোর লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় সরকারি গাড়ির ওপর নজরদারি শুরু করেছে। এখন কোনো সরকারি গাড়ি চলতে শুরু করামাত্রই ট্র্যাকিং সিস্টেম এ বিষয়ে একটা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে।
মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক বিষয়ক মহাপরিচালক ইয়াহিয়া আল ওয়াহাইবি বলেন, এখন প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের গাড়িই ট্র্যাক করা হচ্ছে। এতে গাড়ি কখন, কোথায় থামছে এমনকী ড্রাইভার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করছে কি না তাও জানা যাচ্ছে। ড্রাইভার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালালে তাও মনিটর হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা দুর্ঘটনায় পড়তো। এতে গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় হতো।
ইয়াহিয়া বলেন, এখন গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ ব্যয় অনেক কমে গেছে। ট্র্যাকিং সিস্টেম চালুর ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এক শ্রেণীর কর্মচারীর অহেতুক গাড়ি ব্যবহারও কমেছে। কারণ, তারা জেনে গেছে যে তাদের গাড়ির গতিবিধি ট্র্যাক করা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহারের প্রমাণ পেলেই কৈফিয়ত তলব করা হবে।
তিনি জানান, ট্র্যাকিং সিস্টেম পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে। আঞ্চলিক পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রায় ৭০০ গাড়িকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া মাস্কাট পৌরসভাও তাদের বিভিন্ন গাড়ি, বিশেষ করে বর্জ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
পৌরসভার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেছে, ড্রাইভাররা কোন রুটে চলাচল করছে তা জানতে পারলে পৌরসভার গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কমে যাবে। কারণ অনেক ড্রাইভার আছে যারা শর্টকাট পথে চলতে চায়। কিন্তু ওই রাস্তা যদি ভালো না হয়, তাহলে গাড়ির ক্ষতি হয় এবং তার মেরামতে বেশি অর্থ খরচ হয়। সূত্র : টাইমস অব ওমান
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]