শিরোনাম
রোহিঙ্গা সংকট: আইসিসিকে সাহায্য করবে না মিয়ানমার
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০১৮, ০৯:৪২
রোহিঙ্গা সংকট: আইসিসিকে সাহায্য করবে না মিয়ানমার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্যাতন ও বিতাড়নের অপরাধ তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) কোনো ধরণের সহযোগিতা করবে না মিয়ানমার।


মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির কার্যালয় থেকে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।


বিচারিক এখতিয়ার প্রশ্নে মিয়ানমারের বক্তব্য জানাতে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধ দিয়েছিল আইসিসি।


বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার কোনো এখতিয়ার আইসিসির নেই। আইসিসির কৌঁসুলি ফাতোও বেনসুদার ওই আবেদন মিয়ানমারের ওপর বিচারিক এখতিয়ার পাওয়ার একটি পরোক্ষ চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে, যদিও মিয়ানমার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্যই নয়।


লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে যেভাবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে, তার বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আছে কি না- তা জানতে চেয়ে বেনসুদা গত এপ্রিলে আবেদন করেন।


সুচির কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মিয়ানমার এ সংক্রান্ত কোনো সনদে সই করেনি। রোম সনদের ওপর ভিত্তি করে হেগের আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তির বিচার করার এখতিয়ার রয়েছে আইসিসির। সই না করার কারণে মিয়ানমার রোম সনদের কোনো পক্ষ না। তাই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার এখতিয়ার আইসিসির নেই।


আইসিসির প্রি-ট্রায়াল চেম্বার মিয়ানমারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে বা গোপনীয়ভাবে তিনটি বিষয়ে পর্যবেক্ষণ জমা দিতে আহ্বান জানিয়েছিল।


এর জবাবে মিয়ানমার আইসিসির সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আরো বলেছে, আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ‘ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতা' নিয়েও তাদের উদ্বেগ রয়েছে। সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও আইসিসি মিয়ানমারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে ভবিষ্যতের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হবে।


মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ওই দমন-পীড়নের মুখে গত বছরের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করে আসছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। তবে মিয়ানমার বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।


বেনসুদা এ বিষয়ে আইসিসির আদেশ চেয়ে আবেদন করার পর হেগের আদালত বাংলাদেশ সরকারের মতামত জানতে চেয়ে গত মে মাসে চিঠি দেয় । জুনের শুরুতে বাংলাদেশ সরকার ওই চিঠির জবাব দিয়েছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।


বাংলাদেশের মতামত পাওয়ার পর মিয়ানমারের বক্তব্য জানতে চেয়ে সময় বেঁধে দেয় আইসিসি।


ওই আদেশে বলা হয়, মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার মতো অপরাধের যে অভিযোগ এসেছে এবং বিষয়টি বিচারের জন্য যে আবেদন একজন প্রসিকিউটর করেছেন, সে বিষয়ে মিয়ানমারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা প্রয়োজন বলে চেম্বার (আইসিসি) মনে করছে। সূত্র: রয়টার্স ও পার্সটুডে


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com