শিরোনাম
ইরানের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহী ট্রাম্প
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০১৮, ১১:২২
ইরানের সাথে নিঃশর্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহী ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইরানের নেতাদের সঙ্গে ‘কোনো পূর্বশর্ত’ ছাড়া ও ‘তাদের সুবিধামত সময়ে’ বৈঠক করার প্রস্তাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।


হোয়াইট হাউসে সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি যে কারো সঙ্গে বৈঠক করবো। আমি বৈঠকে বিশ্বাসী। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসপে কোন্তের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন ট্রাম্প।


এ মাসের শুরুতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আর ট্রাম্পের উত্তপ্ত মন্তব্য বিনিময়ের পর ট্রাম্পের এই বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হলো। ট্রাম্প বলেছেন, তারা যদি বৈঠক করতে চায়, আমরা বৈঠক করবো। কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানিদের সঙ্গে অবশ্যই সাক্ষাৎ করতে চাই।


তিনি বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভালো, তাদের (ইরানের) জন্য ভালো, আমাদের জন্য ভালো এবং গোটা বিশ্বের জন্য ভালো। কোনো পূর্বশর্ত নেই। যদি তারা আলোচনায় বসতে চায় তাহলে আমি আলোচনায় বসব।


ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প দাবি করেন, আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত সম্ভবত তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইবে এবং তারা যখন চাইবে তখনই আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা বসতে রাজি। এটি আমাদের শক্তিমত্তা বা দুর্বলতা প্রকাশ করা নয়। আমি মনে করি এই মুহূর্তে এটিই একটি উপযুক্ত কাজ।


রুহানি এখনো ট্রাম্পের সর্বশেষ এ প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে তার এক উপদেষ্টা হামিদ আবুতালেবি টুইটে বলেছেন, পরমাণূ চুক্তিতে ফিরে আসা আর ইরান রাষ্ট্রের অধিকারসমূহকে সম্মান জানালে আলোচনার পথ সুগম হবে।


তিনি টুইট বার্তায় আরো বলেন, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার কণ্টকাকীর্ণ পথ পরিষ্কার করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানি জাতির অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, শত্রুতা কমাতে হবে এবং পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।


এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের পর এই প্রথম কোনো মার্কিন ও ইরানি শীর্ষ নেতা আলোচনায় বসবেন।


ট্রাম্পের সর্বশেষ এ বক্তব্য তার আগের কার্যকলাপ ও হুমকির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তিনি গত সপ্তাহে ইরানকে ‘নজিরবিহীন শিক্ষা’ দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।


মে মাসে একটি চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে আসে, যেই চুক্তিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনার সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার বিষয়ে প্রস্তাবনা ছিল। ২০১৫ সালের ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া আর জার্মানির আপত্তি সত্ত্বেও কিছুদিনের মধেই তেহরানের বিরুদ্ধে আবারো সেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।


ইরানের সাথে কোনো নতুন চুক্তি হতে হলে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের সমর্থন বন্ধ করা সহ ১২টি শর্তের উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সূত্র: বিবিসি ও পার্সটুডে


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com