মিশরের একটি ফৌজদারি আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাসহ ৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে এবং এটি অনুমোদনের জন্য দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি শাওকি আলমের কাছে পাঠিয়েছে। শনিবার ওই ৭৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয়।
২০১৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদে রাজধানী কায়রোর রাবা স্কয়ারে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার অভিযোগের তাদের এ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
শান্তিপূর্ণ ওই বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে মুসলিম ব্রাদারহুডের অন্তত ৬০০ নেতা-কর্মী ও কয়েক ডজন পুলিশ নিহত হয়।
তবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ওই সংঘর্ষে আটশোর বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিল। তবে মিশর সরকার বলেছে, অনেক বিক্ষোভকারী সশস্ত্র ছিল এবং তাদের হামলায় ৪৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।
মিশরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্যাম্পেইনার হুসেইন বাউমি বলেছেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট। অথচ ওই ঘটনার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্যের বিচার অনুষ্ঠিত হয়নি।
শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মুরসির রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা মোহাম্মাদ বাদিয়ী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ সৃষ্টির নেপথ্য ভূমিকা পালনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিশরের আইন অনুযায়ী এসব অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে গ্র্যান্ড মুফতির অনুমোদন নিতে হয়। ইসলামিক আইন কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে গ্র্যান্ড মুফতি সাধারণত আদালতের কোনো রায়ের সঙ্গে দ্বিমত করেন না।
তবে ২০১৪ সালে একবার পৃথক মামলায় মোহাম্মদ বাদিয়ীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে দিয়েছিলেন গ্র্যান্ড মুফতি শাওকি আলম। পরে তাকে ওই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। সূত্র: আল জাজিরা ও পার্সটুডে
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]