ইন্দোনেশিয়ার ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের একটি গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রায় ৩০০ কুমির মেরে ফেলেছে। এসব কুমির ছিলো সেখানকার একটি অভয়ারণ্যে।
গ্রামবাসীরা মনে করে, এই অভয়রাণ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে একটি কুমির তাদের গ্রামের একজন লোককে হত্যা করেছে। এর প্রতিশোধ নিতেই এসব কুমিরকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ ও কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রামবাসীদের হামলা থেকে এসব কুমিরকে বাঁচাতে তারা কিছুই করতে পারেননি। এখন যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার আইনে কুমিরের মতো সংরক্ষিত প্রাণী হত্যা করা অপরাধ এবং এজন্যে শাস্তি হিসেবে জরিমানা অথবা কারাদণ্ডও হতে পারে।
পুলিশ বলেছে, শুক্রবার সকালে কুমিরের ওই খামার থেকে গ্রামের এক ব্যক্তি যখন শাক-সবজি সংগ্রহ করতে গেলে সেখানকার একটি কুমিরের হামলায় তিনি প্রাণ হারান।
ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের ন্যাচরাল রিসোর্সেস কনজারভেশন এজেন্সির প্রধান বলেন, খামারের এক কর্মী শুনতে পান যে কেউ একজন সাহায্যের জন্যে চিৎকার করছে। তখন তিনি খুব দ্রুত সেখানে ছুটে যান এবং দেখাতে পান যে একটি কুমির একজনকে হামলা করেছে।
শনিবার ওই ব্যক্তির শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তারপর কয়েকশো ক্রুদ্ধ গ্রামবাসী ছুরি, শাবল, হাতুড়ি ও মুগুর নিয়ে ওই অভয়ারণ্যের দিকে ছুটে যায়।
কুমিরের খামারের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম লিখেছে, উত্তেজিত জনতা প্রথমে খামারের অফিসে হামলা চালায়। তারপর তারা অভয়ারণ্যের ২৯২টি কুমিরকে হত্যা করে।
ওই সরীসৃপ প্রজনন কেন্দ্রেরই এক কর্মী বাসার মানুল্লাঙ্গ বলেন, এই খামারটিতে নিউ গিনি ও নোনা পানির কুমিরের চাষ হচ্ছিল। ২০১৩ সালে তাদের খামারকে লাইসেন্স দেয়া হয়। স্থানীয়দের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেই শর্তেই মিলেছিল লাইসেন্স। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]