শিরোনাম
প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১১:৩৩
প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন
২০১৭ সালে জি২০ সম্মেলনে দেখা হয় ট্রাম্প ও পুতিনের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

নানা নাটকীয়তা, অভিযোগ, বাধা, বিরোধীতা আর সমালোচনা উপেক্ষা করে অবশেষে আলোচনায় বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে প্রথমবারের মত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন তারা।


দুই নেতার আলোচনার বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, রাশিয়ার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, ইউক্রেন আর সিরিয়ার যুদ্ধ।


গত বছরের জুলাই মাসে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনে আলোচিত এই দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়। তবে ওই সম্মেলনের ফাঁকে সেটি ছিল তাদের কিঞ্চিৎ আলোচনা; আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ট্রাম্প ও পুতিনের আনুষ্ঠানিক বৈঠকের দিকে তাই তাকিয়ে বিশ্ব।


সিরিয়া, ইউক্রেন, ক্রাইমিয়াসহ বিশ্বের অনেক জটিল বিষয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার। যার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বেই।


রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ সারাবিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর বলে পুতিন বর্ণনা করেছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষভাবে এই বৈঠকের ওপর নজর রাখবে। রাশিয়ার হুমকির কারণে তারা কিছুটা অস্বস্থির মধ্যে রয়েছে, আবার অনেক দেশ তাদের জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপরও নির্ভরশীল।


মধ্য আর পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের যে বিতর্কিত নর্ড স্ট্রিম-২ নামের প্রকল্প নিয়েছে জার্মানি, তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই রুটে ইউক্রেন, পোল্যান্ড বা বাল্টিক দেশগুলো থাকবে না। ফলে এসব দেশও এই বৈঠকের দিকে নজর রাখবে।


সবমিলিয়ে সারা বিশ্বেরই নজর থাকবে, সোমবারের এই বৈঠকে আসলে কী হতে যাচ্ছে।


দুই পরাশক্তির মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বহু যুগের। ২০১৬ সালে আমেরিকার নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার পর তা আরও জটিল হয়ে ওঠে। যদিও ওই হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করেছে মস্কো।


মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মনে করে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে রাশিয়া প্রভাব বিস্তার করেছিল। নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল কি-না, ট্রাম্পের শিবির তাতে কোনো সহায়তা করেছে কি-না এসব বিষয়ে তদন্ত করছে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুয়েলার।


নির্বাচনে জয় লাভের পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে হারার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ষড়যন্ত্র করছে ডেমোক্রেটরা। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রচলিত রিপাবলিকান নীতির অনেকটা প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আকাঙ্ক্ষার কথাও জানান তিনি।


গত সপ্তাহেই তিনি শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট, জি সেভেন গ্রুপে রাশিয়াকে পুনরায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সমর্থন দেন। ক্রাইমিয়াকে সংযুক্ত করার পর ওই গ্রুপে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল।


একে অন্যের বিরুদ্ধে সমালোচনা না করে বরং প্রশংসাই করেছেন অনেক সময়। যেমন ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালে তিনি বলেছিলেন, 'তিনি (পুতিন) খুব ভালো নেতা।', 'টাফ কুকি' ইত্যাদি।



গত মার্চে রাশিয়ার বিতর্কিত নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিনের জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ উপদেষ্টাদের নিষেধ সত্ত্বেও পুতিনকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।


অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে 'খুবই উজ্জ্বল একজন ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমান এবং বহুমাত্রিক বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন।


সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com