কোনো গুহার ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো কোনো সহজ কাজ হয়। এটা একইসঙ্গে বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে ওই ডুবুরিকে এ ধরণের অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হওয়াটা বাধ্যতামূলক।
থাইল্যান্ডের ওই গুহার উদ্ধার অভিযানে এ পর্যন্ত ৯০ জন ডুবুরির একটি দল কাজ করছে। যাদের মধ্যে ৫০ জনই বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন।
ওই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দলের এমন কয়েকজন সাহসী ডুবুরির ব্যাপারে জানা যায়। যারা কিশোরদের বের করে আনতে নিজেদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন।
বেন রেমেন্যান্ট এবং অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোত্থানাকর্ন।
বেন রেমেন্যান্ট:
এদের একজন বেন রেমেন্যান্ট। এই বেলজিয়ান নাগরিক মূলত ফুকেটে একটি ডুবুরির সরঞ্জামের দোকান পরিচালনা করেন। উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারংসাক ওসোত্থানাকর্নের অধীনে তিনিও এই অভিযানে যোগ দিয়েছেন।
ক্লস রাসমুসেন:
ডেনমার্কের নাগরিক ক্লস রাসমুসেন এমনই আরেকজন ডুবুরি। তিনি রেমেন্যান্টের সঙ্গে ফুকেটের ওই ডুবুরির স্কুলে কাজ করেন।
মিকো পাসি:
আরেকজন এসেছেন ফিনল্যান্ড থেকে। তার নাম মিকো পাসি। তিনি এই উদ্ধার অভিযানে স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ওই গুহার ভেতরের কিছু ছবি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন।
এরিক ব্রাউন:
কানাডার নাগরিক এরিক ব্রাউন একজন ডুবুরি প্রশিক্ষক। তিনি একদশক আগে ডুবুরির কাজ শুরু করেন এবং মিসরের টিম ব্লু ইমারসনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, তিনি নয়দিনে সাতটি ডাইভিং মিশনে অংশ নিয়েছেন।
ডেন ইভান কারাজিচ:
তার মতোই আরেক স্বেচ্ছাসেবক ডুবুরি ডেন ইভান কারাজিচ। তিনি ডেনমার্কের নাগরিক। মিকোর সঙ্গে তিনি থাইল্যান্ডের ছোট আইল্যান্ড কোহ তাওতে একটি ডুবুরি বা ডাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। তারা দুজনই মূলত ডুবুরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। এরমধ্যে একটি হল কেইভ ডাইভিং বা গুহার ভেতরে ডুব দিয়ে চলা।
রিচার্ড হ্যারিস:
একই উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন রিচার্ড হ্যারিস। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও ডুবুরি হিসেবেও বেশ পারদর্শী। তিনি ঝুঁকি নিয়ে ওই গুহার ভেতরে আটকে পড়াদের কাছে যান উদ্ধার অভিযান শুরুর আগেই তাদের জরুরি চিকিৎসা দিতে।
নিজের প্রায় ১০ বছরের ডুবুরির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তিনি এই অভিযানে নামেন। তিনি একইসঙ্গে একজন এক্সিপিডিশন মেডিসিন, উদ্ধার অভিযানে অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ।
সামান গুনান:
উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া সাবেক এক থাই নৌবাহিনীর ডুবুরির মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে দিয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে এই যাত্রা কতোটা বিপজ্জনক ছিল। সামান গুনান নামে ওই ব্যক্তি শুক্রবার গুহার মধ্যে দিয়ে কিশোরদের অক্সিজেন ট্যাঙ্ক দিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় পানির ভেতরেই অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান তিনি। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]