শিরোনাম
‘অবিশ্বাস্য সাহসী এই শিশুরা'
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০১৮, ১৩:১৩
‘অবিশ্বাস্য সাহসী এই শিশুরা'
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোরকে বের করে আনার কাজে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে সব বিদেশি বিশেষজ্ঞ ডুবুরিরা অংশ নিয়েছেন তাদের একজন ইভান কারাজিচ।


ডেনমার্কের এই বিশেষজ্ঞ ডুবুরি থাইল্যান্ডেরই কো-তাও নামে একটি দ্বীপে একটি গুহার ভেতরে ডাইভিং বা ডুব সাঁতার দেয়ার একটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালান। চ্যাং রাইয়ের পাহাড়ের গুহায় কিশোর ফুটবল দলটির আটকে পড়ার খবর প্রচার হওয়ার পর অন্য নানা দেশের অনেক স্বেচ্ছাসেবী ডুবুরির মতো তিনিও যোগ দেন উদ্ধারকারী দলে।


বিবিসির সাথে তার গত কদিনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে কারাজিচ আটকে পড়া থাই শিশু-কিশোরদের সাহসের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই শিশু-কিশোরদের অধিকাংশ সাঁতার জানতো না।


তিনি বলেন, এই বাচ্চাগুলোকে এমন কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা আগে কখনো এই বয়সের কোনো শিশুই হয়তো করেনি। ...১১ বছর বয়সে কেইভ ডাইভিং (গুহার ভেতরে ডুব সাঁতার) চিন্তারও বাইরে।


ইভান কারাজিচ


কারাজিচ বলেন, সরু গুহায় ভারি অক্সিজেনের পাত্র পিঠে নিয়ে মাস্ক পরে ডুব সাঁতার দেয়া যে কোনো বয়সের মানুষের জন্য বিপজ্জনক। যখন তখন বিপদ আসতে পারে, নিজের টর্চের আলো ছাড়া সবকিছু অন্ধকার।


তিনি আরো বলেন, উদ্ধারের পরিকল্পনার সময় তাদের সবচেয়ে ভয় ছিল বাচ্চাগুলো যদি মাঝপথে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, তখন কীভাবে তা সামাল দেয়া যাবে। তার দায়িত্ব ছিল, গুহার মাঝামাঝি পথে অবস্থান নিয়ে অক্সিজেনভর্তি পাত্র পরীক্ষা করে বদলে দেয়া।


তিনি বলেন, আমি বিশ্বাসই করতে পারি না যে এই শিশুগুলো কতটা সাহসী এবং ঠাণ্ডা মাথার হতে পারে, ভাবতেই পারছি না... দু সপ্তাহ ধরে ঠাণ্ডা, অন্ধকার গুহার আটকে ছিল তারা, মাকে দেখেনি...।


উদ্ধার হওয়া প্রথম শিশুটিকে তিনি যখন আসতে দেখেন, অনুভূতি কী ছিল তার? তিনি বলেন, মনে মনে অনেক আশঙ্কা ছিল আমার। ৫০ মিটারের মত দূরে প্রথম যখন একজন ডুবুরি এবং তার পেছনে বাচ্চাটি নজরে এলো, আমি তখনো নিশ্চিত ছিলাম না যে বাচ্চাটি বেঁচে আছে কিনা। যখন দেখলাম সে শ্বাস নিচ্ছে, বেঁচে আছে, দারুণ স্বস্তি পেয়েছিলাম।


এক সপ্তাহ আগে এক ব্রিটিশ উদ্ধারকারী ডুবুরি গুহার প্রবেশমুখ থেকে চার কিলোমিটার ভেতরে স্থানটিতে দলটির সন্ধান পায়।


১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোররা স্থানীয় ফুটবল দল ওয়াইল্ড বোরসের সদস্য। দলটি তাদের কোচের সঙ্গে ভ্রমণে বের হতে গিয়ে এই গুহায় প্রবেশ করে এবং ভেতরে আটকা পড়ে। নিখোঁজের নয় দিন পর তাদেরকে গুহার গভীর অন্ধকারে পাওয়া যায়। সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/জাকিয়া


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com