শিরোনাম
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়
প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০১৮, ১৬:১৩
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

পরপর দু'জন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরেসা মে নিজে কতকাল ক্ষমতায় টিকে যেতে পারবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্রেক্সিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বিদায় নেবার পর কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা তাঁর সামনে আরও বাধা সৃষ্টি করবে - এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। তার ওপর মন্ত্রিসভা ও রক্ষণশীল দলের মধ্যে বিশাল বিভাজনও প্রধানমন্ত্রীর কাজ আরও কঠিন করে তুলছে। দলের ইউরোপপন্থী কিছু নেতা শুধু টেরেসা মে'র অবস্থানের প্রশংসা করেছেন।


প্রধানমন্ত্রী সোমবার সংসদেও মে নিজের অবস্থানের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছেন। ব্রেক্সিট প্রশ্নে গণভোটের প্রায় দুই বছর পর তিনি বলেন, এই সময় তিনি জাতীয় স্তরে জোরালো বিতর্কের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন। ইইউ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বদলে কিছু ক্ষেত্রে এই রাষ্ট্রজোটের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কই সঠিক পথ বলে তিনি মনে করেন। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত ইইউ'র সদস্য না থেকেও অনেক বিধিনিয়ম মেনে চলতে প্রস্তুত তিনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাঁর এই ‘সফট' ব্রেক্সিটের প্রস্তাব গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হলে তিনি নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়বেন বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। মে নিজে ইইউ'কে নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ডাক দিয়েছেন।


সোমবারই টেরেসা মে ব্রেক্সিট মন্ত্রী হিসেবে ডমিনিক রাব এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জেরেমি হান্টকে নিযুক্ত করেছেন। রাব ব্রেক্সিটপন্থি হলেও হান্ট গণভোটের সময়ে ইইউ-তে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। এর ফলে কট্টরপন্থী ও নরমপন্থীদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়।


কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরা প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে বলছেন, এর ফলে জনগণের রায় অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাবার বদলে টেরেসা মে ‘আধা-ব্রেক্সিট'-এর পথে এগোচ্ছেন। ফলে আলোচনায় ব্রিটেনের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাছাড়া ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ইইউ'র সঙ্গে কোনো চুক্তি সম্ভব না হলে তারও প্রস্তুতি স্থগিত রাখছেন মে৷


ইইউ ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। দেশ হিসেবে ব্রিটেনের সঙ্গে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী ইউরোপীয় কমিশন।


ইইউ কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুংকার সপ্তাহান্তে টেরেসা মে'র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। তাঁর মুখপাত্র বলেন, আলোচনার জন্য ইইউ'র দরজা ২৮ ঘণ্টা খোলা রয়েছে।


কমিশনের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক এক টুইট বার্তায় লেখেন, রাজনীতিকরা আসে-যায়, কিন্তু তাঁরা মানুষের জন্য যে সমস্যা সৃষ্টি করে যায়, তা থেকে যায়। এমনকি ডেভিস ও জনসনের বিদায়ের পর ব্রেক্সিটের আইডিয়া আদৌ কার্যকর হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন টুস্ক। সূত্র : ডয়চে ভেলে


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com