শিরোনাম
গুহা থেকে শিশুদের উদ্ধারে আশাবাদী সবাই
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৫
গুহা থেকে শিশুদের উদ্ধারে আশাবাদী সবাই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গত দু'সপ্তাহ ধরে থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকা পড়ে আছে ১২ জন কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচ। তাদেরকে কিভাবে উদ্ধার করা যেতে পারে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখন নানা রকমের ধারণা নিয়ে আসছেন।


এরকমই এক উদ্ধার অভিযানে শুক্রবার মারা গেছেন থাই নৌ-বাহিনীর সাবেক এক ডুবুরি। তার মতো এরকম আরো কয়েকশো বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যেই ওই ট্যাম লুয়াং গুহার কাছে গিয়ে পৌঁছেছেন উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে।


এই নিখোঁজ ছেলেদের সন্ধান পাওয়ার খবর যখন প্রথম পাওয়া যায় ঠিক তখনই পুরো থাই জাতির মাথার উপর থেকে যেন সরে যায় কালো মেঘ।


আটকাপড়া এই বাচ্চাদের প্রতি সংহতি জানাতে সেখানে ছুটে গেছে তাদের ক্লাসের বন্ধুরাও। সেখানে তারা আয়োজন করছে প্রার্থনার। তারা বলছে, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখার কথা। কারণ তারা মনে করে, একমাত্র বিশ্বাসই শুধু পারে একটি পাহাড়কে নড়াতে।


পর্বতের যেখানে গুহা তার কয়েক মিটার দূরে অবস্থান নিয়ে বিশেষজ্ঞরা পরিকল্পনা করছেন কিভাবে তারা এর ভেতরে ঢুকে উদ্ধার কাজ চালাতে পারেন।


কিন্তু থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে দিনের পর দিন বৃষ্টির কারণে গুহার ভেতরে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ডুবুরি থেকে শুরু করে সৈন্যরা ভাবছেন এই বাচ্চাদের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে তারা কি ভূমিকা রাখতে পারেন।


এই খবর সংগ্রহ করতে সেখানে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছেন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের বহু সাংবাদিক। আছেন থাই নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও। কিশোর ফুটবলাররা যে গুহার ভেতরে বেঁচে আছে এবং ভালো আছে এরকম একটি ভিডিও তারা তাদের ফেসবুক পাতায় পোস্ট করার পর মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি তৈরি হয়েছে।


২৭ বছর বয়সী এক তরুণ ইওসাটা, যিনি পূর্ব লন্ডনে বেড়ে উঠেছেন, কিন্তু পরে ফিরে গেছেন থাইল্যান্ডে, স্থানীয় পুলিশের জন্যে দোভাষী হিসেবে কাজ করার জন্যে সেখানে ছুটে গেছেন।


তিনি বলেন, বাচ্চারা বেঁচে আছে -এটা দেখার পর লোকজনের মানসিক অবস্থাই বদলে গেছে। যারা খুব কঠোর পরিশ্রম করছিলো তাদের মুখে এখন হাসি দেখতে পাচ্ছি। তাদেরকে উদ্ধারে সবাই একসাথে কাজ করছে। এটা একটা দারুণ ব্যাপার।


সংবাদ সম্মেলনে থাই কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই কোনো অভিযান চালানো হচ্ছে না। কারণ গুহার ভেতরে প্রচুর পানি। সেখানে মেডিকেল টিমের লোকদের সাথে নিয়ে উদ্ধারকাজের মহড়া চালাচ্ছে সৈন্যরা।


কিন্তু এই অভিযান সত্যি সত্যি কখন শুরু হবে সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। সেকারণে বহু স্বেচ্ছাসেবী সেখানে উদ্ধারের জন্যে যারা কাজ করছেন তাদেরকে সহযোগিতা করছেন। এরকমই একজন ব্যাংককে আমেরিকান স্কুলের পরিচালক লেকানো ডিডিয়াসেরিন উদ্ধার-কর্মীদের জন্যে খাবার দাবার নিয়ে গেছেন।


তিনি বলছেন, বাচ্চারা বেঁচে আছে - এটা আমার জীবনের একটা শ্রেষ্ঠ খবর। মনে হচ্ছে আমার স্বপ্নটা যেন সত্য হয়েছে। আমার বিশ্বাস তাদেরকে উদ্ধার করা যাবে। কারণ এটা করতে যে ধরনের লোকজন লাগবে সেরকম ডাক্তারসহ সবাই এখানে আছেন।


গুহার ভেতর থেকে পানি বাইরে পাম্প করে ফেলা হচ্ছে। এই কাজটা করতে হচ্ছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।


কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলছে, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে তারা বাচ্চাদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে চায় না। গুহার কাছে জড়ো হওয়া সবাই এখন সেই চূড়ান্ত মুহূর্তটির জন্যে অপেক্ষা করছে যে কখন তাদের প্রার্থনা পূরণ হবে। সূত্র : বিবিসি


বিবার্তা/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com