গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে উৎক্ষিপ্ত উত্তপ্ত ধূলি ও ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধারকর্মীরা আরো লাশ উদ্ধার করেছে। এই নিয়ে প্রাকৃতিক এই ভয়াবহ দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির ডিজাস্টার রিলিফ এজেন্সির মুখপাত্র ডেভিড ডি লিওন বলেন, এই ঘটনায় অন্তত ৬৯ জন মারা গেছে। রবিবারের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরো অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছে। এদের অধিকাংশের অবস্থাই গুরুতর।
আগ্নেয়গিরিটি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এসকুইন্তলা শহরে অস্থায়ী একটি মর্গ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে লাশগুলোর মধ্যে নিখোঁজ স্বজনদের হন্য হয়ে খুঁজছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়াও এতে এস্কুউনটলা, সাকাটেপেকুয়েজ ও চিমাল্টেনাঙ্গো বিভাগে ১৭ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ জনকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আকাশের ১০ কিমি উঁচুতে ছাইমেঘ, উত্তপ্ত কাদামাটি ও পাথরকণা ছড়িয়ে পড়ে। পার্বত্য দক্ষিণাঞ্চলে উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর পর মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে।
গুয়াতেমালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা সার্গিও কাবানাস বলেন, এখনো বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে আমরা তাদের সঠিক সংখ্যা জানি না।
সোমবার ফের অগ্ন্যুৎপাত হওয়ায় লাশ উদ্ধারের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়। অগ্ন্যুৎপাত ও আগ্নেয়গিরি ফুয়েগোর দক্ষিণ ঢালে ভূমিধসের মতো কিছু একটা হওয়ায় নতুন করে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া শুরু হয়।
কাবানাস বলেন, রবিবার দ্রুতগতিতে আসা উত্তপ্ত গলিত লাভা থেকে যারা সরে যেতে পারেননি তারা মারা গেছেন। দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসা লাভা তাদের গ্রাস করে। উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।
সান মিগুয়েল লস লোটেস গ্রামের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে অন্তত তিনটি দগ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। গ্রামটিতে উদ্ধারকর্মী, সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। উত্তপ্ত কাদা ও ছাইয়ের মধ্যে বহু মৃত কুকুর, মুরগি ও হাঁস রয়েছে। এগুলো থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে।
প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেস এই ঘটনায় তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সূত্র: এএফপি ও বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]