পাকিস্তান আগামী ২৫ জুলাই নতুন সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে। এদিন দেশটির ১০ কোটির বেশি ভোটার জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন নতুন নির্বাচনের তারিখ অনুমোদন করেছেন।
এদিকে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার ও জাতীয় পরিষদের মেয়াদ আগামী ৩১ মে শেষ হয়ে যাবে। তাই সেদিনই একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তবে কে হবেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের প্রধান, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসী ও বিরোধীদলীয় নেতা খু্রশীদ শাহর মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ঐকমত্য হয়নি।
পাকিস্তানের ৭০ বছরের ইতিহাসে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়। সেবার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আসে মুসলিম লীগ (নওয়াজ)। গত বছর জুলাইয়ে দলের নেতা নওয়াজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করে সেদেশের সুপ্রীম কোর্ট। তারপর থেকে দলটির নেতারা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য সেনাবাহিনী ও বিচার বিভাগকে ক্রমাগত দায়ী করে আসছেন। বাস্তবেও সেদেশের আদালত মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে একের পর এক রুলিং দিয়ে আসছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এত কিছুর পরও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কয়েকটি উপনির্বাচনে এ দলটিই জয় পেয়েছে। এ ঘটনা থেকে মনে করা হচ্ছে, মুসলিম লীগ (নওয়াজ) আগামী দিনেও শক্তিশালী দল হিসেবে টিকে থাকবে।
এদিকে সাবেক ক্রিকেটতারকা ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ দল আগামী নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। সূত্র : আল জাজিরা
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]