যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এক সপ্তাহও টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র সুরক্ষা দিচ্ছে। এতে পাশাপাশি ফ্রান্সেরও ভূমিকা রয়েছে। তবে সেটা আমেরিকার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম। এখন তাদের উদ্যোগী হতে হবে। এসবের জন্য আমাদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
সিরিয়াতে মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নিজস্ব বাহিনী মোতায়েন করতে হবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন ট্রাম্প। বলেন, সৌদি আরব যদি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত দেখতে চায় তাহলে তাদের ওয়াশিংটনকে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আইএস’কে পরাজিত করার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। শিগগিরই আমরা অন্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপারে একটি নতুন সংকল্পে আসবো। আমাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সৌদি আরব খুবই আগ্রহী। আমি তাদের বলে দিয়েছি যে, আপনারা চাইছেন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় অবস্থান করুক। তাহলে আপনারাই হয়তো এর জন্য অর্থ পরিশোধ করতে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে জাতীয়তাবাদ এবং বিচ্ছিন্নতার সমালোচনা করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এ ধরনের নীতি বিশ্বে সমৃদ্ধির জন্য হুমকি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ম্যাক্রোঁ তার ভাষণে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রই বহুপাক্ষিকতার দ্বার খুলেছে। এখন বিশ্বে একবিংশ শতাব্দীর নতুন ধারা সৃষ্টি করতে তাদের আবার একে নতুন করে উপস্থাপন করা প্রয়োজন।
ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমরা জাতীয়তাবাদ, বিচ্ছিন্নতার পথ বেছে নিতে পারি... কিন্তু তাতে আমাদের নাগরিকদের শঙ্কাই কেবল আরো বাড়বে।”
“বিচ্ছিন্নতা, দূরে সরে থাকা, জাতীয়তাবাদ সাময়িকভাবে আমাদের শঙ্কা নিরসনের একটি পথ হতে পারে। কিন্তু বিশ্বের দরজা বন্ধ করে দিয়ে এর বিবর্তনকে রুখে দেওয়া যায় না। আর সে কারণেই এতে করে আমাদের নাগরিকদের শঙ্কা না কমে বরং তা আরো বাড়বে।”
বিবার্তা/হাসান/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]