শিরোনাম
ইউরোপেও সাংসদদের ‘কেনা’ যায়!
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:১০
ইউরোপেও সাংসদদের ‘কেনা’ যায়!
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা প্রায়ই আমাদের দেশ এবং মতো ছোট ও অনগ্রসর সব দেশের বিরুদ্ধে প্রায়ই দুর্নীতির ঢালাও অভিযোগ এনে থাকে। আমাদের কোনো প্রতিবাদেও তারা কান দেয় না। অথচ দুর্নীতিতে যে তারাও মোটেই কম যায় না, তা ফাঁস হয়ে গেছে সাম্প্রতিক এক খবরে।


জানা গেছে, ৪৭টি দেশের সাংসদদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ ও সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে ‘বিক্রি' হওয়ার অভিযোগ করেছে স্বাধীন তদন্তকারীদের একটি দল। ঘুস হিসেবে ওই সাংসদরা ক্যাভিয়ার, কার্পেট এবং অভিজাত হোটেলে থাকার সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।


এ অভিযোগ আনা হয়েছে কাউন্সিল অফ ইউরোপ-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংস্থা পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অফ দ্য কাউন্সিল অফ ইউরোপ (পেস)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে, যারা কিনা ''কাজ'' করছেন ''মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন'' ইত্যাদি গালভরা বিষয় নিয়ে।


পেস-এর সদস্যসংখ্যা ৩২৪। কাউন্সিল অফ ইউরোপের ৪৭ সদস্যরাষ্ট্রের সংসদ পেস-এর সদস্যদের নির্বাচন করে থাকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে কাউন্সিল অফ ইউরোপ।


অভিযোগ উঠেছে, পেস-এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সদস্য নানা সুবিধা গ্রহণের আজারবাইজানের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সুর নরম করেছেন। দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দিদের অবস্থা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হওয়া এক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওই সাংসদরা।


বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল ২০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন তৈরি করে। এর মধ্যে দু'জন বিচারক ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটসের (ইসিএইচআর) সদস্য ছিলেন। উল্লেখ্য, পেস-এর সদস্যরাই ইসিএইচআর-এর সদস্যদের নির্বাচন করেন।


প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘তদন্তে পাওয়া গেছে যে, আজারবাইজান নিয়ে কাজ করা পেস-এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সদস্য পেস-এর নৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।'’


প্রতিবেদনটি সম্পর্কে পেস-এর সভাপতি মিশেল নিকোলেত্তি সাংবাদিকদের জানান, পেস-এর একটি কমিটি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এই সময়ে অভিযুক্ত সাংসদদের তাঁদের কাজ স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান জোসে উগাজ৷ বলেন, ‘‘এটি খুবই দুঃখজনক যে, পেস-এর মতো একটি সম্মানজনক সংস্থার কয়েকজন রাজনীতিবিদ বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং অর্থের বিনিময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখতে ইচ্ছুক।'' সূত্র : ডিডাব্লিউ


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com