শিরোনাম
প্রকাশ্য প্রেমের দণ্ড!
প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:২৯
প্রকাশ্য প্রেমের দণ্ড!
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রকাশ্যে প্রেম করার দায়ে কয়েক জোড়া অবিবাহিত তরুণ-তরুণী এবং পতিতাবৃত্তির দায়ে দু'জন নারীকে শত শত উৎসাহী দর্শকের সামনে বেত দিয়ে পেটানো হয়েছে। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে এ দণ্ড কার্যকর করা হয়।


পতিতাবৃত্তির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দু' নারীর প্রত্যেক জনকে ১১টি করে বেত মারার আদেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে একজনকে পাঁচটি বেত মারার পর সে দু'হাত উপরে তুলে ফেলে অর্থাৎ সে খুব বেশি কষ্ট পাচ্ছে, যা সহ্য করার মতো নয়। তখন তাকে একটা পানীয় পান করতে দেয়া হয়। এরপর তাকে বাকি বেতগুলো মারা হয়।


দণ্ডপ্রাপ্তদের গায়ে প্রতিটি বেত মারার সঙ্গে-সঙ্গে উপস্থিত জনতাকে উল্লাসে ফেটে পড়তে দেখা যায়। অনেকে তাদের স্মার্টফোনে বেত মারার ছবিও তুলে নেয়। দর্শকদের মধ্যে মালয়শিয়া থেকে আসা কিছু পর্যটকও ছিল।


প্রকাশ্যে ''প্রেম'' করার অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত ছয় প্রেমিকযুগলকে ১১ থেকে ২২টি বেত মারা হয়। শরীয়া পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে জেনা বা অবৈধ সঙ্গমের অভিযোগ আনতে চাইলেও যথেষ্ট প্রমাণ আনতে পারেনি। তা করা গেলে অভিযুক্তদের আরো অনেক বেশি বেত হজম করতে হতো।


মনে করা হচ্ছে, আচেহ প্রদেশে প্রকাশ্যে বেত্রদণ্ড কার্যকরের ঘটনা এটাই শেষ। কেননা, চলতি মাসের শুরুতেই প্রাদেশিক গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন যে, এখন থেকে আর প্রকাশ্য জনসমক্ষে নয়, বেত মারা হবে ঘরের ভেতর।


সমকামিতার দায়ে গত বছর দু'ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে বেত মারার পর বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরে আসে এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর এ ঘোষণা দেন।


তবে আচেহ প্রদেশের সবাই গভর্নরের ঘোষণায় খুশি নন। এরকম প্রায় এক হাজার লোক প্রকাশ্য বেত্রদণ্ড বহাল রাখার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বান্দা আচেহ নগর মেয়রের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করে। তাদের মতে, বেত্রদণ্ড গোপনে দেয়া হলে এর আসল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে।


বলা প্রয়োজন যে, আচেহই ইন্দোনেশিয়ার একমাত্র প্রদেশ, যেখানে শরীয়া আইন চালু আছে। এ প্রদেশটি দীর্ঘদিন স্বাধীনতার দাবিতে লড়াই করেছে। অবশেষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ কিছু কনসেশন বা ছাড় দিয়ে ইন্দোনেশিয়া সরকার তাদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে সমর্থ হয়। আচেহ যেসব ক্ষেত্রে ছাড় পায়, শরীয়া আইন তার একটি।


সুমাত্রা দ্বীপের একেবারে প্রান্তে অবস্থিত আচেহই ইন্দোনেশিয়ার প্রথম এলাকা, যারা ইসলাম গ্রহণ করে। অষ্টম শতকের গোড়ার দিকে আরব বণিকদের সংস্পর্শে এসে তারা ইসলামে আকৃষ্ট হয়। সূত্র : খালিজ টাইমস


বিবার্তা/হুমায়ুন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com