শিরোনাম
কিউবায় কাস্ত্রো যুগের অবসান, নতুন উত্তরসূরি দিয়াজ কানেল
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১০:০৮
কিউবায় কাস্ত্রো যুগের অবসান, নতুন উত্তরসূরি দিয়াজ কানেল
মিগুয়েল দিয়াজ কানেল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

কিউবার পার্লামেন্ট রাউল কাস্ত্রোর ঘনিষ্ট বা ডান হাত হিসেবে পরিচিত মিগুয়েল দিয়াজ কানেলকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছে। কয়েক যুগ পর কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় এখন কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব আসছে।


কাস্ত্রো পরিবারের বাইরের নেতৃত্বের কিউবা কিভাবে এগুবে, তা নিয়ে এখন অনেক আলোচনা চলছে। ৮৬ বছর বয়সী রাউল অবসরে যাচ্ছেন। তিনি ২০০৬ সালে তার ভাই ফিদেল কাস্ত্রোর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।


রাউল প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিউবার সম্পর্ক গড়ে তা এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তা উল্টে গেছে। রাউল দেশের ভেতরেও বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন।


কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ কানেলকে মনোনীত করেছে দেশটির পার্লমেন্ট। তবে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করবে। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিয়াজ কানেলের নাম ঘোষণা করা হবে।


রাউল প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়লেও কিউবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিতে তাদের প্রভাব আগের মতোই বহাল থাকবে। তিনি ২০২১ সাল পর্যন্ত দলটির প্রধান হিসেবে থাকবেন, তিনিই কমিউনিস্ট পার্টিকে নিয়ন্ত্রণ করবে। নীতিগত বিষয়ে নির্দেশনা দেবে পলিটব্যুরো।


রাউল কাস্ত্রো ও দিয়াজ কানেল


কে এই দিয়াজ কানেল?


দিয়াজ কানেল ২০১৩ সালে কিউবার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার আগে পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিতে থাকলেও নিজেকে সেভাবে প্রকাশ করতেন না। তবে তিনি প্রেসিডেন্ট রাউলের খুবই কাছের মানুষ।


৫৭ বছর বয়সী দিয়াজ কানেল উদারপন্থী হিসেবেও পরিচিত। তার জন্ম ১৯৬০ সালে। এর এক বছর আগে কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রো প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেন।


তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইনঞ্জিয়ারিং এ লেখাপড়া করেছেন এবং তার বয়স ২০’র কোঠার আগেই তিনি সান্তা ক্লারা ইয়ং কমিউনিস্ট লিগের একজন সদস্য হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন।


রাউল তার মতাদর্শগত দৃঢ়তার প্রশংসা করেছেন। দিয়াজ কানেল কিউবা বিপ্লবের পরে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি এখনো কাস্ত্রো মডেলের বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে সম্প্রসারিত অংশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।


কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দিয়াজ কানেলকে সবচেয়ে বড় যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তা হলো অর্থনীতি। দেশটিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। দিনে দিনে তা আরো নাজুক হচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রেও আগের তুলনায় পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।


তবে কিউবার অধিবাসীরা পরিবর্তনের যে প্রত্যাশা করছেন, তেমন সংস্কারক দিয়াজ কানেল নাও হতে পারেন। তিনি সরকারের সমালোচক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নন। এ ক্ষেত্রে তিনি ফিদেল ও রাউলের চেয়েও বিরূপ।


ক্যারিবীয় দেশটি নতুন নেতৃত্বে একদলীয় শাসন থেকে বেরিয়ে আসবে, এমনটা ভাবতে চান না বিশ্লেষকরা। তবে তারা মনে করেন, একদলীয় গণতন্ত্রের পথে হাটতে পারে। ফলে বড় ধরণের কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে বিশ্লেষকরা বলছেন।


ফিদেল এখন অতীত আর রাউল অবসরে গেলেন। এই পরিবারের বাইরে নতুন নেতৃত্ব নিয়ে অনেকের শংকা আছে। সূত্র: বিবিসি


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com